ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

পদ্মা পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

সাইফ ইসলাম রিয়াদ, পাটুরিয়া থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২১:৩৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
পদ্মা পাড়ে প্রধানমন্ত্রীর নামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পাটুরিয়া ঘাট। ঘাট কেন্দ্র করে বাস-ট্রাক হতে শুরু করে নানা যানবাহনের মিছিল। পদ্মা পাড়ের পাশের রাস্তায় সারি সারি গাছ। আরেক পাশে সবুজ বনানী। ব্যস্ততম এই পদ্মার পাড়েই বিশাল এলাকাজুড়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্টেডিয়ামের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে আসেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের কোল ঘেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম আগে থেকেই আছে, এবার পদ্মার পাড়ে তৈরি হবে আরেকটি স্টেডিয়াম। কক্সবাজার সৈকতের পাশে শেখ কামাল স্টেডিয়াম জীর্ণ-শীর্ণ, অবহেলিত হলেও পদ্মার পাড়ের ক্রিকেট স্টেডিয়াম চলবে পুরোদমে। এমন আশ্বাসই দিয়েছেন পরিদর্শনে আসা মন্ত্রী-সাংসদরা।

কবে নাগাদ শুরু হবে স্টেডিয়ামের কাজ? ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল বলেছেন, ‘অনেক ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়। এখানে সে ধরনের স্টেডিয়াম করতে গেলে মাটিটা কার্টেল করবে কিনা বা কতটা নিচে নিতে হবে, সকল কিছু পরীক্ষা করেই আসলে এটা করতে হয়। সাধারণত এটার জন্য ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে। সেটা হলে আমার মনে হয় যে স্টেডিয়ামের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।'

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই ফিজিক্যাল স্টাডির কাজ শুরু হবে। এর জন্য ৪ কোটি টাকা বাজেটও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল।

ফিজিক্যাল স্টাডি শেষে এই অর্থবছরেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী নিজে এটা ঘোষণা দিয়েছেন। এই অর্থ বছরে আমরা চেষ্টা করব স্টেডিয়ামটির কাজ শুরু করা যায়।'

দুই বছর আগে থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। মানিকগঞ্জে সফরে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা অবশ্য দুর্জয়। তিনি এই অঞ্চলের সাংসদও। দুর্জয় বলেন, 'একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে এবং এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে অবশ্যই আমি আনন্দিত। উনারা এসেছেন এবং এই স্টেডিয়ামের কার্যক্রম আমরা শুরু করতে যাচ্ছি।'

পদ্মার পাড়ে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম হলেও সেই মানের আবাসন ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলাগুলোতে যখন স্থাপনা করতে যাই সেখানে আবাসনের জন্য সেই স্থাপনাগুলো অকেজো হয়ে থাকে। যেটা আমরা গোপালগঞ্জে দেখছি। সেই কারণে এখানে স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ডরমেটরি নির্মাণ করা প্রয়োজন। এখানে নির্মাণ করা হবে, না হলে খেলোয়াড়েরা কোথায় থাকবে। সেই হিসেবে স্টেডিয়ামের পাশাপাশি একটা ডরমেটরিও নির্মাণ করতে চাই।'

সবেমাত্র স্টেডিয়ামের জায়গা নির্বাচিত ও পরিদর্শন হয়েছে। এখনো অনেক পথ বাকি। কিন্তু স্টেডিয়ামটি কী নামে বা কার নামে হবে? ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই হবে স্টেডিয়াম, 'প্রধানমন্ত্রী হয়তো ঠিক করে দেবেন। কিন্তু আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে স্টেডিয়ামটি হোক। এটা নাইমুর রহমান দুর্জয় সাহেব এবং এলাকাবাসির পক্ষ থেকে দাবি। কিন্তু এটা পুরোটাই নির্ভর করবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর।'

ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়