বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রাবিনা-দ্রাবিড়?

বলিউডে প্রেম-বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন হরহামেশাই হয়ে থাকে। এমনকি নায়িকার সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্কও নিয়ে চলে চটকদার গালগল্প। কেউ কেউ বিয়ে করেছেন, আবার কারো বেলায় কেবল গুঞ্জনই উঠেছিল। এই যেমন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাবিনা টেন্ডনের সঙ্গে ‘দ্য ওয়াল’ রাহুল দ্রাবিড়ের সম্পর্ক!

২০০২ সালের স্টারডাস্ট সাময়িকীর জানুয়ারির সংখ্যার প্রচ্ছদে ছাপা হয়েছিল এই ‘হট টপিক’। কয়েকটি শব্দ উসকে দিয়েছিল ওই সময়ে দ্রাবিড়-রাবিনার সম্পর্কের গুঞ্জন। প্রচ্ছদে রাবিনার বড় ছবি ছেপে পাশে লেখা, তার জীবনে নতুন মানুষ, রাবিনা কি রাহুল দ্রাবিড়কে বিয়ে করবেন?

মানে প্রেমের সম্পর্ক ছাপিয়ে বিয়েই নাকি করতে গিয়েছিলেন রাবিনা ও দ্রাবিড়! এ নিয়ে কম ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি তখনকার জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে। অবশ্য এসব প্রেমের গুঞ্জনের সঙ্গে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন রাবিনা।

অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল সবচেয়ে আলোচিত। রাবিনা নিজেই বলেছিলেন অক্ষয়ের সঙ্গে এনগেজমেন্টের কথা। কিন্তু সুস্মিতা সেন ও রেখার সঙ্গে হাতেনাতে ধরে ফেলায় তার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলেন।

এরপর রাবিনার সঙ্গে দ্রাবিড়ের সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু বরাবরই দৃঢ়কণ্ঠে এটি অস্বীকার করে এসেছেন মহড়া’খ্যাত অভিনেত্রী। ঘটনার সূত্রপাত ২০০২ সালে। তখনো দ্রাবিড় বিয়ে করেননি। এই সময় জল্পনা ছড়ায় রাবিনা নাকি তাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হন রাবিনা। তখনই জানিয়ে দেন, দ্রাবিড়কে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভগবানের দিব্যি তার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তিনি আমার বন্ধু বা অন্য কেউ নন।’ এই গুঞ্জন তার কাজেও ব্যঘাত ঘটাচ্ছিল, ‘বিশ্বাস করুন আমার সঙ্গে ওর কোনো সম্পর্ক নেই। এখন আমি কাজে মন দিতে চাই।’

দ্রাবিড়ের সঙ্গে দেখা হওয়া নিয়ে রাবিনা বলেছিলেন, ‘একটি অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমার বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলাম, একা তার সঙ্গে দেখা করিনি। কারণ তাকে আমি ভালোভাবে চিনতামই না। গোবিন্দ, সুনীল শেঠী ও সালমান খানও ছিল।’

সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠার কারণ জানা ছিল না রাবিনার, ‘আমি জানি না কিভাবে এটা শুরু হলো। সম্ভবত তখন আমার সঙ্গে কাউকে দেখা যাচ্ছিল না। আর রাহুলও বিয়ে করেনি। ব্যস, লোকেরা সেটিকে গুলিয়ে ফেলল অন্যভাবে। সম্প্রতি সন্দীপ চৌতার (মিউজিক ডিরেক্টর) সঙ্গে আমাকে নিয়ে গুঞ্জন চলছে, সত্যি বলতে আমি তাকে চিনিই না। হতভাগা লোকটা পরের দিন আমাকে ফোন করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিল। একেবারেই অদ্ভুত।’

রাবিনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসব গুঞ্জনের পর যদি কখনো দ্রাবিড়ের সঙ্গে দেখা হয়, তাহলে কী করবেন। তার উত্তর, ‘আবার যদি আমার সঙ্গে তার দেখা হয় আমি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করব। কিন্তু সেটা বেশ কঠিন। আরো ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে আমি আমার মনকে ঠিক করে ফেলব। এসব গুঞ্জন থামাতে হলে আমার কাউকে খুঁজে নিতে হবে।’

রাবিনা তার গুঞ্জন থামানোর মানুষ খুঁজে পেয়েছিলেন দুই বছর যেতেই। ২০০৪ সালে অনিল থাডানিকে বিয়ে করেন তিনি। আর ২০০৩ সালে নাগরপুরের চিকিৎসক বিজেতা পেনধারকরকে বিয়ে করেন দ্রাবিড়। রাবিনার বিয়ের পর সত্যিই সব গুঞ্জন থেমে গিয়েছিল।