ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

ঝুঁকি নিয়ে সফল সাকিব 

ক্রীড়া প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ১৯ মার্চ ২০২২  
ঝুঁকি নিয়ে সফল সাকিব 

অথচ সাকিব আল হাসানের যাওয়ার কথাই ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকায়। তার চাওয়া মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছুটিও দিয়েছিল ২ মাসের। কিন্তু মত পাল্টে শেষ পর্যন্ত সাকিবে গেলেন, খেললেন, জয় করলেন এবং কী ম্যাচসেরাও হলেন! এটা যেন একমাত্র সাকিবের পক্ষেই সম্ভব। তাকেতো আর এমনিতেই দেশের ক্রিকেটের ‘দ্য আনপ্রেডিক্টেবল বয়’ বলা হয় না। 

সেঞ্চুরিয়নে শুক্রবার (১৮ মার্চ) নতুন ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ। এর আগে কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় না জেতা বাংলাদেশ লিখেছে জয়ের চিত্রনাট্য। যার বড় অংশ জুড়ে আছেন সাকিব। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে ২৭৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা। ৩৮ রানে জয় নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। 

তামিম-লিটন শুরুটা এনে দিয়েছিলেন দারুণ। দরকার ছিল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান তোলা। কিন্তু দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ইয়াসিরকে সঙ্গে নিয়ে সাকিব গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। শুরুটা ধীরগতিতে খেলেন দুজনে। থিতু হয়ে শুরু করেন স্ট্রাইক রোটেটের সঙ্গে চার-ছয়ের মার। এ মারার জন্য কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছেন দুজনেই। তাতে সফল হয়েছেন বলে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় জানান সাকিব। 

‘আমি ভাবছিলাম ওই সময়ই দ্রুত রান করা উচিত ছিল। তা না হলে আমরা ২৬০-২৭০ রানের বেশি করতে পারতাম না। আমরা যে ছন্দটা পাই ৩০ ওভারের সময়, ওটাই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা জানতাম যে ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যেন তাঁরা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। এটাই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’

ম্যাচের দিকে তাকালেও সাকিবের কথার মিল পাওয়া যাওয়া যায়। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২০ রান দেওয়া রাবাদা ৩৯ ও ৪১তম ওভারে দেন ১৯ রান। তখন ক্রিজে ছিলেন সাকিব-ইয়াসির। দুজনেই ফিফটি করে নেন। সাকিব ক্যারিয়ারের ৫০তম ফিফটি আর ইয়াসির প্রথম ফিফটি। সাকিব থামেন ৭৭ রানে আর ইয়াসির এই ফিফটিতে। দুজনের ৮২ বলে ১১৫ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। 

তামিম-লিটনের দারুণ শুরুর মতো কযারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ইয়াসির আলীকে কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি সাকিব। ‘ইয়াসির খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা ভালো ছিল। ইয়াসিরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। কারণ সে তাঁর ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচ খেলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। এটা তাঁর জন্য সহজ ছিল না।’

‘আমি ৭-৮ বল খেলার পর বুঝতে পারি যে উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। আমাদের ৩০০’র কাছাকাছি রান করতে হতো। আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিটন-তামিম ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আমাদের জন্য ছন্দটা ধরে রাখা উচিত ছিল। কারণ নতুন বলের উজ্জ্বলতা চলে যাওয়ার পর রান করা সহজ মনে হচ্ছিল। সেই সুবিধাটাই নিতে চেষ্টা করেছি। ভাগ্য ভালো আজ সেটা কাজে লেগেছে’-আরও যোগ করেন সাকিব। 

ঢাকা/রিয়াদ/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়