ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কুশলের ইনিংস লম্বা হলে জিততে পারতো শ্রীলঙ্কা: ধনঞ্জয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১৯ মে ২০২২   আপডেট: ১৯:৩৯, ১৯ মে ২০২২
কুশলের ইনিংস লম্বা হলে জিততে পারতো শ্রীলঙ্কা: ধনঞ্জয়া

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিন শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয়েছিল আক্রমণাত্মক। এক প্রান্তে নতুন ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ঝড় তুলেছিলেন, অন্য প্রান্তে থাকা দিমুথ করুণারত্নে দিচ্ছিলেন দারুণ সঙ্গ। কুশলের এই ঝড়ো ইনিংস থামে ফিফটির আগে। শেষ পর্যন্ত ড্রতে সমাপ্তি হয় এই টেস্ট।

ম্যাচ শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) কুশলের লম্বা ইনিংস না হওয়ার আক্ষেপ ঝরল ধনঞ্জয়া ডি সিলভার কণ্ঠে। তিনি মনে করেন, কুশল যদি অপরাজিত ৭৫-৮০ রানের ইনিংস খেলতে পারতেন, শ্রীলঙ্কা হয়তোবা জিততে পারতো।

ধনঞ্জয়া বলেছেন, 'এভাবেই সে খেলে থাকে। সে সহজাত খেলোয়াড়, বলের টাইমিং ভালো জানে। সে চায় দ্রুত রান তুলতে, যদি সে ৭৫ অথবা ৮০ রান করে অপরাজিত থাকতো, তাহলে হয়তো আমরা জয়ের সুযোগ পেতাম।'

কুশলের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দিনের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার লিড। ২৯ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করেছিল তারা। শুরু থেকেই কুশল খেলেন আগ্রাসী। দিনের প্রথম ওভার থেকেই তার মার শুরু। তাইজুলের চতুর্থ বলে কাভার দিয়ে পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। এক বল ডট দিয়ে আবার চার। এবার মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে। পরের ২ ওভার কোনো চার আসেনি। কিন্তু খালেদের করা ২১তম ওভারে টানা তিন চার মেরে পুষিয়ে দেন। এই ওভারে নেন ১৪ রান। নাঈম হাসানকে ছয় মেরে জুটির ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ৪৯ বলে। তাতে ২৬ বলে ৪০ রানই কুশলের।

চল্লিশের ঘরে যাওয়ার পর কিছুটা শান্ত হন কুশল। ফিফটি থেকে যখন ২ রান দূরে, তখন আঘাত হানেন তাইজুল। তার ফ্লাইট ডেলিভারি ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কুশল, কিন্তু বল ব্যাট ছুঁয়ে ভেঙে দেয় স্টাম্প। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ বলে ৪৮ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কারও রানের ফোয়ারা থেমে যায়।

তৃতীয় সেশনে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ২৬০ রানের পর দুই দল ড্র মেনে নেয়। ফল আসবে না নিশ্চিত জেনেই দুই অধিনায়ক এই সিদ্ধান্ত নেন। তবে যদি কুশলের ঝড়ো ইনিংসটা আরো লম্বা হতো তাহলে ভিন্ন কিছুও হতে পারতো।

অবশ্য ড্র করতে পেরেও সন্তুষ্ট সফরকারী দল। ধনঞ্জয়া বলেন, 'আসলে এটি ড্র‍য়ের দিকে যাচ্ছিল। আমরা এটা প্রথম দিন থেকেই বুঝেছিলাম, তারা (বাংলাদেশ) ব্যাটিং করার সময়ও। বাংলাদেশেরও জয়ের সম্ভাবনা খুব কম ছিল। এখানে বোলারদের কিছু করার ছিল না। আমরা ড্র করতে পেরে খুশি।'

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ড্র। দুই দলেরই নজর থাকবে এবার ঢাকা টেস্টে। ২৩ মে থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। মিরপুরের উইকেটে ফল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ঢাকা টেস্টে কে হাসবে শেষ হাসি? উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন!

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়