ভালো কিছুর আশায় নিউ জিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মিশনে বাংলাদেশ
গন্তব্য নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু ভাবনায় ঘোরাফেরা করছে অস্ট্রেলিয়া। তাসমান পাড়ের দুই দেশে অসম্ভবকে সম্ভব করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ দল যাত্রা শুরু করলো।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২৪ অক্টোবর। এর আগে নিউ জিল্যান্ডে পাকিস্তান ও স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে সাকিব আল হাসানরা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশ শুক্রবার রাতে কিউইদের দেশে রওণা হলো।
সিঙ্গাপুর হয়ে তাদের ক্রাইস্টচার্চ পৌঁছাতে পৌঁছাতে ২ অক্টোবর স্থানীয় সময় সকাল। দল পৌঁছানোর দু-এক দিনের মধ্যেই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও আমেরিকা থেকে সোহান-তাসকিনদের সঙ্গী হবেন। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব ভালো না হলেও আমিরাতে স্বাগতিকদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে কিছুটা জোর পেয়েছে। বুক বল নিয়েই বাংলাদেশ মাঠে নামার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
নিউ জিল্যান্ডে এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছিল। যা ছিল যে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়। এবার সীমিত পরিসরেও জয়ের পতাকা উড়াতে চায় বাংলাদেশ। সেজন্য শতভাগেরও বেশি উজার করে দেওয়ার কথা বলেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, ‘আমাদের সামর্থ্য আছে। নিশ্চিত করেই বলতে পারি ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। সবকিছু কঠিন। কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ...কিন্তু সব কিছুই জয় করা সম্ভব।’
বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখার আগে নিজেদের লক্ষ্যের কথা তাসকিন জানিয়েছেন এভাবে, ‘আমরা খুব বেশি সফল নই এই ফরম্যাটে। যে যার জায়গা থেকে ২০-৩০ শতাংশ উন্নতি করে নিউ জিল্যান্ড থেকে যেন অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল। এরপর মূল পর্বে কোনো জয় নেই। এবার সরাসরি মূল পর্বে খেলা বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাই পর্ব থেকে পেরিয়ে আসা দুই দল। এবার কি সেমিফাইনাল খেলতে পারবে বাংলাদেশ?
তাসকিন বলেছেন, ‘আমাদের তো স্বপ্ন আছে। আমরা সবাই নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতিতে মনোযোগী। এক-দুই মাসে বিশ্বকাপ জয়ের মতো দল হয়ে ওঠা কঠিন। এজন্য উন্নতিতে মনোযোগ হওয়া উচিত। তাতে এখন না হলেও কিছু সময় পর যেন বিশ্বকাপের আসরে লড়াই করতে পারি।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান (সহ-অধিনায়ক), মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও নাজমুল হোসেন।
স্ট্যান্ডবাই: শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান ও সৌম্য সরকার।
* দলের সঙ্গে নিউ জিল্যান্ড গিয়েছেন শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার
ঢাকা/ইয়াসিন