ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ব্যর্থতার বাতাবরণ ফুঁড়ে জয়ের আলোকরশ্মির অপেক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২৯ মার্চ ২০২৪  
ব্যর্থতার বাতাবরণ ফুঁড়ে জয়ের আলোকরশ্মির অপেক্ষা

৩২৮ রানের হার যেনতেন হার নয় অবশ্যই। বিব্রতকর হার তো বটেই, সঙ্গে প্রতিপক্ষের দাপটে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা জড়ানো। সিলেটে যেই মাঠে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ সেখানেই শ্রীলঙ্কা বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছে। বড় হারকে সফরসঙ্গী করে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ। শনিবার যেখানে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট।

প্রতিপক্ষের শক্তিশালী আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত হলে দুমড়েমুচড়ে পড়া স্বাভাবিক। লড়াইয়ের তেজ খুব কম থাকে। কিন্তু চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিবির রয়েছে ফুরফরে মেজাজে। ব্যর্থতার বাতাবরণ ফুঁড়ে চট্টগ্রামে জয়ের আলোকরশ্মির অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ড্রেসিংরুমে নেই পুরোনো ব্যর্থতার ছাপ। সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। আর শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে কি করার প্রয়োজন সেই কাজগুলোই করা হচ্ছে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন  নিক পোথাস।

ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে পোথাস আশার আলো দেখালেন, ‘ছেলেরা এই টেস্টে ভালো করতে ক্ষুধার্ত। তারা সবসময়ই ভালো করতে চায়। তারা দল হিসেবে অসাধারণ। ভালো করার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় তারা বিশ্বাসী। তাদের হাসি দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন। আমাদের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব এই মনোভাবটাকে দলের ভেতরে টিকিয়ে রাখা যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা সমান্তরালে আসি। তারপর আমাদের এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দলে আবেগের কোনো জায়গা নেই। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ বেশ ভালো।’

নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে পোথাস বেশ সন্তুষ্ট, ‘আমরা আরেকটি টেস্ট ম্যাচের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নেই এবারও সেই কাজটা করছি। আমরা পেছনে কি হয়েছে ভাবছি না। সামনে তাকিয়ে আছি। আমরা ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছি এবং সামনে কি হবে সেগুলো নিয়ে ভাবছি। সেগুলোই আগামী টেস্ট ম্যাচে প্রয়োগ করবো।’

ম্যাচের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ওপেন মাইন্ডে রয়েছে। চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ তা কে না জানে। স্বাগতিকদের চাহিদাও তাই। উইকেটের ঘাস শেষ বিকেলেও কাঁটা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল তখন অনুশীলন করছিল। এর আগে খুব গভীরে গিয়ে পরিস্কার করা হয়েছে উইকেটে। বোঝাই যাচ্ছে, উইকেটে যেন রান হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে স্বাগতিক দল। সঙ্গে ম্যাচটা পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজনও চলেছে। উইকেট ও কন্ডিশনের বিষয়টি পোথাস ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের ওপর।

সামনে নিজেদের যেই কাজ সেটায় মনোযোগ তার, ‘এখানের মানুষ এবং গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে উইকেট ভালো। আসলে দুই দল মাঠে না নামা পর্যন্ত বলতে পারছি না উইকেট কেমন আচরণ করবে। দিন শেষের ফলাফল কি হবে সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা ছোট ছোট লড়াইগুলো জিততে চাই। শেষ ম্যাচের ভুলগুলো না করে ধীরে ধীরে উন্নতি করতে চাই। কন্ডিশন যেমনই হোক আমরা মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

শেষমেশ পোথাস যে বার্তা দিলেন তাতে দাঁড়ায় এই ম্যাচটা জিতে বাংলাদেশ সিরিজে সমতা আনতে চায়। এজন্য সামর্থ্যের সবকুটু উজাড় করেই খেলবেন শান্ত, জাকির, সাকিবরা, ‘সামনে ম্যাচটা আমরা জিততে চাই। আসলে প্রত্যেকেই মাঠে নেমে জিততে চায়। উইকেট যেমনই হোক আমাদের খেলতে হবে। মানিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এটাই সহজ কাজ।’

বাংলাদেশকে চোখ রাঙাতে পারে চট্টগ্রামের শেষ পাঁচ টেস্টের পারফরম্যান্স।  যেখানে বাংলাদেশ চারটিতেই হেরেছে। ড্র করেছে একটি। একমাত্র ড্রটি এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভয়ে থাকার যথেষ্ট কারণও আছে। 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/বিজয়

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়