ছাড়পত্র পেলেন ইবাদত
যে সুখবরের জন্য ইবাদত হোসেন অপেক্ষা করছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়, অবশেষে তা পেলেন। মাঠে ফেরার ছাড়পত্র পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে সিলেট বিভাগের হয়ে মাঠে নামতে অনুমতি পেয়েছেন ইবাদত। ম্যাচটি শুরু হবে ৯ নভেম্বর।
বিসিবির চিকিৎসা বিভাগের থেকে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দারুণ ফর্মে থাকাকালীন চোটে পড়ে গত বছরের জুলাই থেকে মাঠের বাইরে ইবাদত। প্রাথমিকভাবে বোঝা যায়নি তার চোটের তীব্রতা। মনে হচ্ছিল, কিছুদিন পরই ফিরতে পারবেন মাঠে। কিন্তু অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার হাঁটুতে। এরপর দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। ফলে গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি তিনি। বাইরে বসে দেখতে হয় চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। সঙ্গে জাতীয় দলের জার্সিতে মিস করেন একাধিক দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, মহাদেশীয় প্রতিযোগিতা।
সব মিলিয়ে ইবাদতের ক্যারিয়ার থেকে হারিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লম্বা সময়। কিন্তু তাকে নিয়ে বেশ সতর্ক ছিল মেডিকেল টিম। নিয়মিত বোলিং করলেও পুরোপুরি ছন্দ পাচ্ছিলেন না। আবার ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেসও মিলছিল না। তাই তাকে মাঠে ফেরার ছাড়পত্র দিতে সময় নেয় বিসিবি।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী রোববার রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘ইবাদতকে জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে খেলতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। লম্বা সময় পর সে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরছেন। তাকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও দিয়ে দেয়া হয়েছে। সেভাবেই সে ম্যাচে খেলবে। আমরা দেখতে চাচ্ছি, বিরতি দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে কতটা স্বস্তি পান তিনি।’
মাঠে ফিরতে মুখিয়ে থাকা ইবাদত বলেছেন, ‘আমি তো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। এজন্য ফিটনেসটা শতভাগ অর্জন করতে হতো। এখন মাঠে ফেরার মতো পুরোপুরি ফিট। নতুন করেই আবার সব শুরু করতে হবে। সেটাই আসল চ্যালেঞ্জ। ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি।’
চারদিনের প্রতিযোগিতায় ইবাদতের ফিটনেসের আসল অবস্থা জানতে পারবে চিকিৎসা বিভাগ। শরীর ঠিকঠাক সহযোগিতা করলে তাকে নিয়ে দূর্ভাবনা কমে যাবে। নয়তো বিপিএলকে টার্গেট করে নতুন প্রক্রিয়ায় শুরু হবে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। বিপিএলে তাকে দলভুক্ত করেছে ফরুচুন বরিশাল। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএল।
ঢাকা/ইয়াসিন