ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘লাল-সোনালি’ স্বপ্নে চড়ে কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৭ মে ২০২৫   আপডেট: ১৩:৫৭, ২৭ মে ২০২৫
‘লাল-সোনালি’ স্বপ্নে চড়ে কোয়ালিফায়ারে পাঞ্জাব

ক্রিকেট মাঠে কখনও কখনও কিছু জয় শুধুই স্কোরবোর্ডে লেখা থাকে না, তার বাইরেও থাকে এক গভীর বার্তা। সোমবারের (২৬ মে) আইপিএল ম্যাচে সেই রকম এক জয় তুলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তারা শুধু জয়ই পায়নি, নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রথম কোয়ালিফায়ারের টিকিটও। আর এই জয়ে যেন বহু বছরের অপূর্ণতা পূরণের পথে এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে দলটি।

ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল মুম্বাইয়ের ইচ্ছেমতোই। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলটি ৭ উইকেটে তোলে ১৮৪ রান। সূর্যকুমার যাদব ছিলেন আক্রমণের মূল কেন্দ্রে। ৫৭ রানের ইনিংস খেলে তিনি ছাপিয়ে যান কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডকেও। একদিকে ব্যক্তিগত রেকর্ড, অন্যদিকে দলীয় সংকট; তবু সূর্য নিজের মতোই আলো ছড়ান।

আরো পড়ুন:

কিন্তু পাঞ্জাবের জবাব ছিল আরও দুঃসাহসিক। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও মাঝে জশ ইংলিশ ও প্রিয়াংশ আর্য গড়েন ১০৯ রানের দুর্দান্ত জুটি। প্রিয়াংশ মাত্র ৩৫ বলে ৬২ রানের ইনিংসে ঝড় তুললে ইংলিশ ছিলেন ধীরস্থির। যিনি ৪২ বলে করেন ৪৩ রান।

শেষদিকে শ্রেয়াস আইয়ারের কার্যকরী ২৬ ও নেহাল ভাদেরার ঠাণ্ডা মাথার শেষ স্পর্শে ম্যাচটা জিতে নেয় পাঞ্জাব ৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই।

পাঞ্জাবের জয়ের আরেক ভিত গড়ে দিয়েছেন তাদের বোলাররা। মার্কো ইয়ানসেন, আরশদীপ সিং ও বিজয় কুমার; তিনজনই শিকার করেন দুটি করে উইকেট। মুম্বাইয়ের হয়ে যদিও মিচেল স্যান্টনার দুটি ও জাসপ্রিত বুমরাহ একটি উইকেট নিয়ে কিছুটা লড়াই করেছিলেন। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়।

পাঞ্জাবের এই জয়ে একদিকে যেমন প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্সের ভাগ্য এখন ঝুলে আছে অন্য ম্যাচের ফলাফলের উপর। আজ মঙ্গলবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস-এর বিপক্ষে বেঙ্গালুরু যদি জিতে যায় তবে গুজরাট নেমে যাবে তিনে। অর্থাৎ তাদের নাম লেখাতে হবে এলিমিনেটর রাউন্ডে। যেখানে তাদের মুখোমুখি হতে পারে এই ম্যাচে হার মানা মুম্বাই।

পাঞ্জাব কিংস সেই বিরল দলগুলোর একটি যারা সবসময় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে, কিন্তু ফলাফলে সেটার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেনি। তবে এবারের অভিযান যেন কিছুটা আলাদা। দলে তরুণদের আত্মবিশ্বাস, অভিজ্ঞদের স্থিরতা আর কৌশলগত বিচক্ষণতা মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক নতুন সংজ্ঞা, নতুন পাঞ্জাব। প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেও তাদের যাত্রা শেষ নয়, বরং এখান থেকেই শুরু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাহসী গল্প!

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়