ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের কাছে ধরাশায়ী চ্যাম্পিয়ন পিএসজি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) যখন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে একের পর এক দলকে চূর্ণ করার মিশনে নেমেছে। তখনই তাদের যাত্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল এক দক্ষিণ আমেরিকান ক্লাব ‘বোতাফোগো’। ক্যালিফোর্নিয়ার ঐতিহাসিক রোজ বোল স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফরাসি জায়ান্টদের ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে চমক সৃষ্টি করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
এদিন বলের দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল পুরোপুরি পিএসজির। রামোস, উসমান দেম্বেলে, কিংবা দুয়েরার মতো তারকা খেলোয়াড়েরা গোলের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছেন বোতাফোগোর রক্ষণদেয়ালে। পরিসংখ্যান বলছে, পিএসজি ম্যাচে বল দখলে ছিল ৭৫ শতাংশ সময়, নিয়েছে ১৬টি শট। তবে গোলপোস্টে বল জড়াতে পারেনি একবারও।
অন্যদিকে, পুরো ম্যাচে হাতেগোনা কয়েকটি সুযোগ পেলেও বোতাফোগো ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে একটি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে স্যাভারিনোর নিখুঁত পাসে বক্সে ঢুকে গোল করেন স্ট্রাইকার ইগোর জেসুস। এই একমাত্র গোলই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ম্যাচের বাকি সময় ধরে পিএসজি আক্রমণ চালালেও বোতাফোগোর গোলকিপার ও ডিফেন্ডাররা ছিলেন অনড়।
অন্য ম্যাচে, একই গ্রুপ ‘বি’-তে আটলেটিকো মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিয়াটেল সাউন্ডার্সকে। এদিন স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেছেন তরুণ মিডফিল্ডার পাবলো ব্যারিওস। একটি গোল যোগ করেছেন অভিজ্ঞ তারকা অ্যাক্সেল উইটসেল।
গ্রুপ ‘বি’-এর পয়েন্ট টেবিল এখন বেশ জমজমাট। দুই ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বোতাফোগো। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পিএসজি আছে দুই নম্বরে, এবং সমান এক জয় থাকা আটলেটিকো আছে তিন নম্বরে। এখনও কোনো পয়েন্ট না পাওয়া সিয়াটেল অবস্থান করছে সবার নিচে।
টেবিলের এই পরিস্থিতিতে গ্রুপের শেষ রাউন্ড হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তী ম্যাচে পিএসজি মুখোমুখি হবে সিয়াটেলের। অন্যদিকে বোতাফোগোর সামনে চ্যালেঞ্জ আটলেটিকোর। এই ম্যাচ দুটিই নির্ধারণ করবে কারা যাবে শেষ ষোলোয়, আর কে বিদায় নেবে গ্রুপপর্বেই।
ঢাকা/আমিনুল