অপেক্ষার অবসান, নাকি আরও বাড়বে?
যে কথা শুনিয়েছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই কথা মুখে ছিল নাজমুল হাসান পাপনেরও। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ফারুক আহমেদ বিসিবির হট সিটে বসলেও সেই কথা মুখে নেননি। কিন্তু নাটকীয়ভাবে বিসিবি সভাপতি হওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুল ফিরিয়ে আনলেন সেই কথা।
১৯ বছর লম্বা সময়। সময়ের হিসেবে সংখ্যাটা কেবল ১৯। কিন্তু গভীরে গেলে দেখা মিলবে কত অজুত-নিযুত সময়ের পালাবদল। এই পালাবদল, পরিবর্তনের সময়ে বিসিবিতে যারাই এসেছেন প্রত্যেকেই বলেছেন, ‘‘আমরা বিসিবি অ্যাডাওয়ার্ড নাইট করবো। খেলোয়াড়দের তাদের পুরস্কার দেব।’’
আ হ ম মুস্তাফা কামাল কিংবা নাজমুল হাসান পাপন কেউই কথা রাখেননি। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আয়োজন করেননি এই অনুষ্ঠান। এবার আমিনুল ইসলাম একই ঘোষণা দিলেন। জানালেন, শুধু এই বছর নয়, আগামী ৪-৫ বছর টানা অ্যাওয়ার্ড নাইট আয়োজন করতে চান তিনি।
ট্রিপল সেঞ্চুরির একটি সেঞ্চুরি ‘হাই পারফরম্যান্স ফর অল’ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে বিসিবি অ্যাওয়ার্ড নাইট করা হবে। প্রাথমিকভাবে আপাতত টানা ৪ থেকে ৫ বছর এটি আয়োজনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য আলাদা কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে। যে কমিটিকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে ইফতেখার আহমেদ মিঠুকে।
অ্যাওয়ার্ড নাইট নিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘এটা আমাদের প্রোগ্রামেরই একটা অংশ। হাই-পারফরম্যান্স ফর অল—এটার সঙ্গে হচ্ছে খেলোয়াড়দের মনোবল বৃদ্ধি করা বা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য...। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যারা আছেন সকলের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য আমরা একটা ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড নাইট করব এবং সেটা আমরা চালু করব। শুধু এক বছরের জন্য নয়, আমরা একটা চুক্তিতে আসব কিভাবে আমরা পুরস্কারগুলো দিব। সেটা আমরা ৪-৫ বছরের একটা পরিকল্পনা করছি।’’
যদি আমিনুল ইসলামের বোর্ড এই অ্যাওয়ার্ড নাইট সফল করতে পারে তা বিরাট অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৯ বছর আগে, ২০০৬ সালে অ্যাওয়ার্ড নাইট আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে সেই অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। নানাবার, নানা সময় আশার কথা শোনালেও আলোর মুখ দেখেনি এই পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান। আমিনুল ইসলাম পারবেন তো?
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল