ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, অনিশ্চয়তায় পুরো টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ২০ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৫:০৪, ২০ জুলাই ২০২৫
রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ, অনিশ্চয়তায় পুরো টুর্নামেন্ট

ক্রিকেট মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, এবার রাজনীতির উত্তাপেই থেমে গেল এক ঐতিহাসিক দ্বৈরথ। ভারত ও পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লেজেন্ড চ্যাম্পিয়নশিপের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ জুলাই রাতে ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা ও উত্তেজনার কারণে ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি।

কাশ্মীরের পেহেলগাঁও অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জেরে ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিছু দর্শক। নিরাপত্তা ও মানসিক চাপের অজুহাতে ভারতীয় দলের ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং এবং শিখর ধাওয়ান এই ম্যাচ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।

আরো পড়ুন:

এর মধ্যেই বিতর্ক উসকে দেন শহীদ আফ্রিদি। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীরে কিছু হলেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয়, অথচ সেখানে ভারতের আট লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। যদি তারপরও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তবে প্রশ্ন ওঠে সেই সেনাবাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে।’’

এই মন্তব্যের জবাবে শিখর ধাওয়ান নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সাফ জবাব দেন,  ‘‘কার্গিলে হারিয়েছিলাম তোমাদের। আমাদের সেনাদের নিয়ে গর্ব করি। কথার ফুলঝুরি নয়, বরং নিজের দেশের জন্য কিছু করো।’’

জবাবে শহীদ আফ্রিদিও পাল্টা বার্তা দেন—হাতে এক কাপ চা নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, “জয়-পরাজয় ভুলে যাও, এসো মাকে চা পরিবেশন করি।”

ঘটনার পর ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস’ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে ম্যাচটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। তারা লিখেছে, ‘‘আমরা ক্রিকেটকে সম্প্রীতির মাধ্যম হিসেবে দেখি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ম্যাচ আয়োজন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছি। আশা করি, দর্শকরা বিষয়টি বুঝবেন।’’

১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবরাজ সিং (ভারত) ও মোহাম্মদ হাফিজ (পাকিস্তান)। পাকিস্তান ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেও, বর্তমান ঘটনায় পুরো আসরের ভবিষ্যৎ নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়।

ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা থাকুক খেলার মাঝে, রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি যেন না থামায় খেলার আনন্দ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উপমহাদেশজুড়ে অন্যরকম উত্তেজনা, কিন্তু এবার সেটি পরিণত হলো হতাশায়। এখন দেখার বিষয়, লেজেন্ডদের এই আসর আবার মাঠে ফিরতে পারে কি না।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়