চট্টগ্রামের শিশির ভাবনায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম
ভাগ্যিস বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বল পুরোনো হওয়ার আগেই নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা নিজেদের চেষ্টা করেছেন। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করেননি। তাতেই ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের রান তাড়ায় ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশের। অথচ বাংলাদেশের পরাজয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিতে পারত মাঠের শিশির। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের প্রকোপে বোলারদের বল গ্রিপ করতে কষ্ট কচ্ছিল। তাতে ভয় ধরেছিল অতিথি শিবিরে। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে ম্যাচ জিতে নেওয়ায় খুশি তারা। তবে শিশির নিয়ে ভাবনা ছিলো দুই দলই। রোভমান পাওয়েল ৪৪ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। চতুর্থ উইকেটে হোপকে নিয়ে ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবুও শিশির নিয়ে ভয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে।
রোভমান পাওয়ের ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই কথাই বললেন, ‘‘“এটা স্পষ্ট যদি বাংলাদেশের মূল ব্যাটসম্যানদের কেউ আরও লম্বা সময় কাটাতে পারত, তাহলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। কারণ, শেষ দিকে মাঠ ভিজে গিয়েছিল। আমাদের বোলারদের এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা পরিকল্পনায় অটল ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছে। “আমরা পিচ নিয়ে তথ্য নিয়েছি, মাঠ নিয়ে তথ্য নিয়েছি। কিন্তু আমরা জানতাম না, মাঠ এতটা ভেজা থাকবে। পরের দুই ম্যাচে এই ব্যাপারটা আমাদের ভাবনায় রাখতে হবে।” বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারালে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত বলেই বিশ্বাস করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা তানজিম। কারণ শিশিরের কারণে শেষ দিকে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যাচ্ছিল।
সাকিব বলেছেন, ‘‘“যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশিরের কারণে বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার মনে হয়, যদি একজন থিতু ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যেত। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান দরকার ছিল, একজন থিতু ব্যাটার থাকলে ম্যাচ হাতের মধ্যেই থাকত।” পরের ম্যাচ একদিন পরই। ম্যাচ শুরুর সময় সন্ধ্যা ৬টায়। সেই ম্যাচেও শিশির বড় ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে সতর্কবার্তা এই ম্যাচেই পেয়ে গেছে দুই দল।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন