ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মায়ের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন রিকশাচালক

এম মাহফুজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২০ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মায়ের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেলেন রিকশাচালক

আব্দুর রহিমের হাতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার ডামি চেক তুলে দেয়া হচ্ছে

এম মাহফুজুর রহমান : মায়ের জন্য কিস্তিতে একটি ওয়ালটন ফ্রিজ কেনেন পিরোজপুরের কামারকাঠী গ্রামের আব্দুর রহিম। সেই ফ্রিজেই ভাগ্যের চাকা ঘোরে তার। রিকশাচালক রহিম হয়ে যান মিলিয়নিয়ার।

মাত্র পাঁচ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কেনা ফ্রিজে মিলে যায় ১০ লাখ টাকা।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-ফোর এর আওতায় ফ্রিজ ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন। যে কোনো মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আছে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক, টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি কিংবা নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুবিধা থাকছে ঈদুল আযহা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুর রহিমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির, নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা কে এম তারিকুল ইসলাম, ওয়ালটনের বিপণন বিভাগের ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর মশিউর রহমান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর নাজমুল হোসাইন ইভান, বরিশাল জোনের এরিয়া ম্যানেজার শফিক হায়দার, ‘মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজ’এর স্বত্ত্বাধিকারী মহিদুল ইসলাম ও  ব্যবসায়ী নুরুল হকসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।

মিলিয়নিয়ার হয়ে মহাখুশি পিরোজপুরের রিকশাচালক আব্দুর রহিম

 

আব্দুর রহিম জানান, মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার তার। টাকা ধার করে কেনা রিকশা নিয়ে দিন-রাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন তিনি। ৯ জুলাই স্বরূপকাঠীতে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘হক এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ১ হাজার ৮০৬ টাকার মাসিক কিস্তিতে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।

ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানির ফ্রিজ অনেক ভালো। দামেও কম ও কিস্তি সুবিধায় কেনা যায়।’

তিনি বলেন, ‘ওয়ালটনের এত বড় অফারের কথা জানতাম না। মায়ের দোয়ায় এটা হইছে। এই টাকা দিয়া জমি কিনা পোলাপানেরে দিমু। যাতে আমি না থাকলেও ওরা চলতে পারে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, ‘ওয়ালটন নিয়ে আমাদের গর্ব হয়। দেশে এরকম একটি কোম্পানি আছে যারা বিদেশেও পণ্য রপ্তানি করছে। ওয়ালটনের পণ্য কিনে গ্রাহকরা অনেক খুশি। এ অঞ্চলে ওয়ালটন পণ্য শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।’

মিলিয়নিয়ার হয়ে মহাখুশি পিরোজপুরের রিকশাচালক আব্দুর রহিম

 

পৌর মেয়র গোলাম কবির বলেন, ‘সহজলভ্য ও কিস্তি সুবিধা থাকায় মানুষ ওয়ালটন পণ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। এলাকায় ওয়ালটন পণ্যের ছড়াছড়ি। প্রায় প্রতি ঘরে ওয়ালটন পণ্য রয়েছে।’

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্খিত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন।

এর আগে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন আরো তিনজন। তারা হলেন- চাঁদপুরের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জাকির, কুমিল্লার রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান ও ফেনীর কাঠমিস্ত্রি মোহাম্মদ ইয়াছিন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুলাই ২০১৯/ এম মাহফুজুর রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়