মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ
মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে দেশটিতে ৪২৩ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হলেও ২০২২ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৭৯৫ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
হেরোইন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় আফিম। বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি এবং সামরিক অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক কষ্ট ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে বলে বিশ্বাস করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও শাসনব্যবস্থায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় শান এবং সংঘাতপ্রবণ সীমাবর্তী রাজ্যগুলোর কৃষকদের আফিম চাষে ফিরে যাওয়া ছাড়া খুব কম বিকল্প ছিল।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের অর্থনীতি ২০২২ সালে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছিল, - যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অব্যাহত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি। এই পরিস্থিতি কৃষকদের আফিম চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে।
আফগানিস্তানের পর মিয়ানমার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বজুড়ে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে বেশি হেরোইনের উৎস এই দেশ দুটি। জাতিসংঘের অনুমান, মিয়ানমারের আফিম অর্থনীতির মূল্য ২০০ কোটি ডলার।
ঢাকা/শাহেদ