ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঝলমলে রোদে স্বস্তি ফিরেছে শ্রমজীবীদের জীবনে

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ৯ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৫:২৪, ৯ জানুয়ারি ২০২৩
ঝলমলে রোদে স্বস্তি ফিরেছে শ্রমজীবীদের জীবনে

গত ১০ দিন ধরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন রংপুরবাসী। বিশেষ করে তিস্তার চর বেষ্টিত এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া শ্রমজীবীদের ভোগান্তি পৌঁছেছিল চরম পর্যায়ে। কিন্তু আজ সকাল ১০টার পর থেকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের ঝলমলে রোদে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে।  

সোমবার ( ৯ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলে তাপমাত্রার ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে বলে ধারণা তাদের।

আজ দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, শরীরের মোটা কাপড় খুলে রেখে সব বয়সী মানুষ নতুন উদ্যামে মাঠে কাজ করতে শুরু করেছেন।

এই উপজেলার নাগদাহ গ্রামের আতোয়ার, আইজার, হাসানসহ কয়েকসহ কৃষক জানান, শীতে আমরা কাবু হয়ে পড়েছিলাম। জমিতে কাজে নামলেই হাত পা ঠান্ডায় অবশ হয়ে যেত। দুপুর বেলা কিছু সময়ের জন্য রোদ থাকলেও তাতে তাপ থাকতো না। আজ সকালেও প্রচুর শীত ছিলো। কিন্তু ঝলমলে রোদে শীত কমে এসেছে। আমরাও এখন মাঠে কাজ করে অনেক শান্তি পাচ্ছি। 

ছিদাম বাজারে কাঠের কাজ করা জলিল নামের এক কাঠ মিস্ত্রি বলেন, ‘সারাদিন শীত থাকলে কাঠের কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। এখন রোদ উঠেছে, তাই বাড়ির উঠানে রোদে বসে কাজ করছি। খুব ভালো লাগছে ‘

একই এলাকায় আলু ক্ষেতে ওষুধ স্প্রে করতে থাকা সাব্বির হাসান নামের এক কৃষক বলেন, ‘রোদ উঠেছে তাই আলুতে ওষুধ দিচ্ছি। শীতে আলুর পাতা-ডগা ভেজা থাকায় ওষুধ স্প্রে করা যেত না। এছাড়া শীতে আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা থাকে। রোদ থাকায় এখন সে সম্ভাবনা নেই।‘ 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। তবে রাতের বেলায় ঘণকুয়াশা থাকলেও দিনের বেলায় সেটি কাটিয়ে রোদ থাকবে।’

আমিরুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়