ঢাকা     শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

শীতে কাতরাচ্ছে চাঁদপুরের বেদে জনগোষ্ঠী

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৩, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩  
শীতে কাতরাচ্ছে চাঁদপুরের বেদে জনগোষ্ঠী

ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে একটি বেদে পরিবার

চাঁদপুর সদরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা শত শত বেদে পল্লীর জনগোষ্ঠী শীতে কাতরাচ্ছেন। শীতের প্রকোপ শুরু হলেও এখনো প্রশাসন কিংবা কোনো সংগঠন থেকে তাদের কম্বল বা শীতবস্ত্র দেওয়া হয়নি। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানিয়েছেন, দ্রুতই তালিকা করে বেদে পল্লীর লোকজনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হবে। 

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাবের পেছনের বেদে পল্লী এবং শাহতলীর বেদে পল্লী ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পেছনে ডাকাতিয়া নদীতে নৌকায় ভাসমান বেদে এবং বাঁশ ও প্লাস্টিকের টং বাড়ি বানানো বেদেদের সভাপতি সর্দার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল বেপারী বলেন, আমাদের এখানে ২৭০টি পরিবারে প্রায় দেড় হাজার বেদে সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। আমরা সবাই ভূমিহীন। এখানে প্রায় ৪ যুগ ধরে আমরা এভাবেই অস্থায়ী হয়ে জীবন কাটাচ্ছি। শীতে কাতরালেও এবছর আমাদের প্রশাসন বা কোনো সংগঠন থেকে এখনো শীতবস্ত্র বা কম্বল দেয়নি।

বেদে পরিবারের ঘর

টং বাড়িতে থাকা বেদে হোশনেয়ারা বেগম, আখি আক্তার, সোনা মিয়া, সেকান্দর আলীসহ আরও অনেক বেদে বলেন, অন্যান্য বছর এই সময়ে আমাদেরকে অনেকেই কম্বল দেয়। কিন্তু এবার এখনো কেনো কেউ এগিয়ে আসছে না বুঝতাছি না। আমাদের এই ডাকাতিয়ার নদী পাড়েই জীবন সংগ্রাম। এখানে পৌরসভার উদ্যোগে ল্যাট্রিন করে দেওয়ায় উপকার হইছে। আমাদের এখানে এক হাজারেরও বেশি লোক ভোটার। তাই শীত নিবারনে সবাই যাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসেন এই আশা করি। একই কথা জানিয়েছেন চাঁদপুর সদরের শাহতলীতে ফ্রুটস ভ্যালী এগ্রোর পাশে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নৌকায় ভাসমান অবস্থায় বসবাস করা বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন।

এদিকে, বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের কম্বল পাওয়ার আকাঙ্খার বিষয়টি চাঁদপুর সদরের ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে অবগত করলে তিনি বলেন, আমরা শহরের লঞ্চঘাট, রেল স্টেশন, বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল দেওয়া শুরু করেছি। বেদে সম্প্রদায় এবং হরিজন গোষ্ঠীর মধ্যেও তালিকা করে দ্রুত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কম্বল দেওয়া হবে। অসহায় মানুষের জন্য আমাদের মানবিক কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।

অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়