চাঁপাইনবাবগঞ্জে নির্বাচনের পর ১২টি সহিংসতার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনে নির্বাচন পরবর্তী ১২টি সহিংসতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ সব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জের ডাক বাংলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ সব অভিযোগ করেন সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম টুটুল খান।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ নির্বাচনে এ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৯ হাজার ৮১২টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭০৯ ভোট।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরই সৈয়দ নজরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা শুরু করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। গত তিন দিনে ১২ স্থানে হামলা, মারধর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আবু আহমেদ নাজমুল কবীর মুক্তার বাড়িতে হামলা করা হয়। প্রত্যেক ঘটনায় পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচনি ফলাফল মেনে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ তার নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় হামলার ঘটনা দুঃখজনক।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ সব ঘটনায় থানায় কয়েকটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মুনিরুল ইসলামসহ শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ নেতাকর্মীরা।