ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

পঞ্চগড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১২ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:০৬, ১২ জানুয়ারি ২০২৪
পঞ্চগড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সাদাতকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চগড়-১ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান মুক্তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের ভাসানী পার্ক এলাকায় ওই যুবলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এমনকি মারধরের ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্তরা।

বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা শাহাদতকে একসঙ্গে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি মারধর করছেন। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা নিজেকে অসুস্থ দাবি করলেও তারা তাকে ছাড় দেয়নি। ভিডিওতে অভিযুক্তদের বলতে শোনা যায়, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কথা বলায় তাকে মারধর করা হচ্ছে। মারধরের পর আর কখনো সাংসদ সদস্য মুক্তার বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলার অঙ্গীকার করতে বাধ্য করা হয় তাকে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহাদত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পুকুরীডাঙ্গা এলাকায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য ইজিবাইকে করে পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলেন শাহাদাত। পঞ্চগড় জেলা শহরের জালাসী ভাসানী পার্ক এলাকায় পৌঁছালে ইজিবাইকের গতিরোধ করে ওই এলাকার মফিজুল, জহিরুল, আল আমিন, রফিকুল, শরিফ, হাসিবুল, নাঈম ও ফরিদসহ ১০ থেকে ১৫ জন। ইজিবাইক থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। 

ভুক্তভোগী শাহাদত বলেন, সারা দেশেই নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমাদের এখানেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আমি নির্বাচনে আনোয়ার সাদাত সম্রাটের হয়ে কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য পঞ্চগড় জেলা শহরের যাচ্ছিলাম। আমি বারবার তাদের বলেছি, আমি অসুস্থ তারপরও তারা আমাকে ছাড় দেয়নি। যারা আমার ওপর হামলা করেছে তারা কখনো দলের আগে পিছে ছিলো না। এর আগেও ৫ জনকে তারা মারধর করেছে। আমি এখন চিকিৎসা নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। 

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়