ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ব্যারিস্টার সুমনের নির্বাচনি প্রচারে ভাইরাল ‘খাদির মামু’ ‘বিংরাজ মেম্বার’

নাজমুল হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৮:০২, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
ব্যারিস্টার সুমনের নির্বাচনি প্রচারে ভাইরাল ‘খাদির মামু’ ‘বিংরাজ মেম্বার’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও ব্যারিস্টার সুমনকে নিয়ে আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। নির্বাচনি প্রচারণায় ‘খাদির মামু আর বিংরাজ মেম্বারকে’ নিয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন সুমন, যা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। পাশাপাশি, এই দুটি চরিত্র (খাদির মামু ও বিংরাজ মেম্বার) নিয়ে ফেসবুকে চলছে নানা রকম ট্রল।

নির্বাচনি প্রচারণায় দেওয়া বক্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেখানে ব্যারিস্টার সুমনকে বলতে শোনা যায়, ‘যে খাদির মামুর (কাদির মামা) লাগি আমি জীবন দিলাম, ই মামুই অনে খালি আমারে ফাতলা মারে। ই খাদির মামুর লাগি আমি ঘাম ও রক্ত ফালাইছি; আর মামু অনে মাইনষেরে খইন— আরেহ, এ ব্যাডায় কীতা এখন নাটক শুরু খরছে। মামু অনে বিংরাজ মেম্বারর লগে মিইশ্যা তাবিজ টিফুইন। আমি বিংরাজ মেম্বাররে খইলাম, ফাতলা মারুইন কীতা? তাইন খইন, খাদির মামুই তাবিজ দেলাইন। এই বিংরাজ মেম্বারর খতায় আমি ৩টা ব্রিজ বানাইলাম’। 

আরো পড়ুন:

উল্লেখ্য, ‘খাদির মামু’ হলেন চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল কাদির লস্কর। আর ‘বিংরাজ মেম্বার’ চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ভিংরাজ মিয়া তালুকদার।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সে ঢুঁ মেরে দেখা যায় অসংখ্য মন্তব্য। জসীম উদ্দিন নামের একজন লিখেন, ‘সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচিত চরিত্র খাদির মামু ও বিংরাজ মেম্বার। আরেকজন লিখেন, ‘খাদির মামু আর বিংরাজ মেম্বার দেশটা শেষ করে দিলো। বার বার তাদের চেনার পরও কেন যেন তাদের জায়গা দেওয়া হয়’।

ছবিতে বামে আব্দুল কাদির, সর্বশেষ ডানে ভিংরাজ মেম্বার

মইনুল হোক বুলবুল নামে একজন তার টাইমলাইনে লিখেন, ‘খাদির মামু, বিংরাজ মেম্বার তারা তাবিজ টিফছইন আর ফাতলা মারছইন ব্যারিস্টার সুমনের লগে। আমাদের নিজ নিজ এলাকায় খাদির মামু ও বিংরাজ মেম্বার আছইন, তারার খবর কীতা’।

নুর আহমেদ নামের আরেকজন পোস্ট করেন, ‘কাদির ওরফে খাদির মামু আর বিংরাজ মেম্বার ওরফে তাবিজ বাবারে অনলাইন ইউজাররা খুব মিস করতেছে’।

অন্যদিকে সুমন তার বক্তব্যে দাবি করেন, এই দুজন (খাদির মামু, বিংরাজ মেম্বার) আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুব আলীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে কাজ করছেন। 

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এই আসন থেকে গত ৩০ বছর ধরে আ.লীগের বাইরে থেকে কোনও প্রার্থী নির্বাচিত হননি। তিনি সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।


 

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়