ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের নারীকে মারধরের ভি‌ডিও ভাইরাল 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ৪ মার্চ ২০২৪  
টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের নারীকে মারধরের ভি‌ডিও ভাইরাল 

ওই নারীকে মারধর

টাঙ্গাইলের সখীপু‌র উপজেলায় প্রতি‌বে‌শি এক নারী‌কে মারধর করছেন ইউপি চেয়ারম‌্যান। এমন এক‌টি ভি‌ডিও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে ভাইরাল হ‌য়ে‌ছে। শুধু চেয়ারম‌্যান নয়, তা‌র সঙ্গে প্রতিবেশি রুবেলও ওই নারী‌কে মারধর ক‌রেন।  

অভিযুক্ত সরকার নূরে আলম মুক্তা উপ‌জেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। এর আগে ওই নারী তার মে‌য়েকে বিদ‌্যাল‌য়ে গালি দেয়ার ঘটনায় চেয়ারম‌্যা‌নের কা‌ছে বিচার চাইতে গি‌য়ে‌ছিলেন।

আরো পড়ুন:

এ ঘটনায় রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে ওই চেয়ারম‌্যা‌নের বিচার চে‌য়ে সখীপুর থানায় লি‌খিত অভিযোগ দি‌য়ে‌ছেন ওই নারী। এ ছাড়া একইদিন উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী।

গত শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই নারীকে মারধর করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই নারীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়। 

ভিডিও তে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বিচার চাইতে প্রতিবেশি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যায়। এ সময় ওই নারী‌ উত্তে‌জিত হ‌য়ে কথা বলায় প্রতিবেশি রুবেল (৩৫) এসে তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রু‌বেল প্রথ‌মে মারধর ক‌রে। এরপর চেয়ারম‌্যানও তা‌কে মারধর ক‌রে।

সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী। একই এলাকায় বসবাস করেন সরকার নূরে আলম মুক্তাও। দুই জনের মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালি দেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হয় ওই নারী। 

ভুক্ত‌ভো‌গী ওই নারী বলেন, ‘মেয়েকে হুমকি-ধমকি ও গালি দেয়ার বিচার চাইতে গেলে চেয়ারম্যান ও রুবেল আমাকে বেধড়ক মারধর করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করেছেন।’

ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘ওই নারী পরিকল্পিতভাবে আরেক নারীকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। পরে এক প্রতিবেশি প্রতিবাদ করলে ওই নারী প্রথমে তার গায়ে হাত তুলেছেন।’ 

তাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান। 

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

কাওছার/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়