ঢাকা     সোমবার   ২০ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

বাবা-মার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৫, ৯ মার্চ ২০২৪  
বাবা-মার ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বাবা-মার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মোরছালিন হাওলাদার। বিয়ের পর বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে নিজ বাড়িতে যান তিনি।

এই হেলিকপ্টারের উঠা-নামা দেখতে মানুষ ভিড় করেন। আগামীর জীবন যাতে সুন্দর হয়, সেজন্য নব দম্পতির জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামে শুক্রবার (১০ মার্চ) তাদের বিয়ে হয়। দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোরছালিন হাওলাদারের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে ঠিক হয়। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বর মোরছালিন সবার ছোট। তারা পাঁচ ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবেন।

মা-বাবার স্বপ্ন পূরণে তাদের নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যান মোরছালিন হাওলাদার। দুপুর ২টায় দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে তাদের বহনকৃত হেলিকপ্টারটি। পরে হেলিকপ্টার থেকে মা বাবাকে সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে যান বর। এরপর সেখানে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এ বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা আত্মীয় স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন। বিয়ে শেষে আবারও ওই হেলিকপ্টারে করে মা, বাবা আর নববধূকে নিয়ে ফিরে যান মোরছালিন।

এলাকাবাসী কবির শেখ বলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রথম কোনো বর হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসল। আমরা হেলিকপ্টার দেখতে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগল।’

হেলিকপ্টার দেখতে আসা মুক্তা খানম বলেন, ‘আমি কখনও হেলিকপ্টার দেখিনি। এখানে হেলিকপ্টার আসবে শুনে দেখতে আসলাম। হেলিকপ্টার নামার পর দেখলাম বর তার মা-বাবাকে নিয়ে এসেছে। হেলিকপ্টার দেখে খুব খুশি হয়েছি।’

বরের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়ায় থাকি। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা- মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি।’ 

বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, ‘বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেছি।’ 

কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, ‘আমি আমার মেয়ে-জামাতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।’
 

বাদল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়