পহেলা বৈশাখে ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেপ্তার ৫

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘাটারচর মধুসিটি এলাকায় পহেলা বৈশাখে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিলন (২৩), মো. মাসুম (২৫), শহিদুল ইসলাম (২১), মো. রাহাত (১৮) ও মো. সোহাগ আলম (২০)।

শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, গত রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নাদিয়া আক্তার তার বন্ধু সিজান ও রিজভীকে নিয়ে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচরে মধুসিটিতে ঘুরতে আসে। হাউজিংয়ের ভিতর ফাঁকা জায়গায় বসে নাদিয়া তার বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নাদিয়া ও তার বন্ধুদের টেনে হিচড়ে হাউজিংয়ের আরও ভিতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে সিজান ও রিজভীকে আটক করে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরবর্তীতে তারা নাদিয়াকে জোরপূর্বক হাউজিংয়ের ইটের সীমানা প্রাচীর বেষ্টিত প্লটের বাউন্ডারির ভিতরে নিয়ে যায়। প্রথমে তিনজন নাদিয়াকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং বাহিরে অন্যান্যরা পাহারা দিতে থাকে। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা নাদিয়া ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং কাউকে জানালে ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় ১৫ এপ্রিল সকালে নাদিয়া আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম প্রয়োগ করে পাঁচজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা উক্ত গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।