ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ২৬ মে ২০২৪  
ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা

নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম নদী ভাঙন৷ অনেকে হারিয়েছে ঘর বাড়ি, ফসলি জমিসহ মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু৷ ঢাকার কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নের নতুনচর খাড়াকান্দি গ্রামে গত বছর নদী ভাঙনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে গ্রামের প্রায় ৮০টি পরিবার৷

এবারও বর্ষা আসার আগেই আতঙ্কিত নদীপাড়ের বাসিন্দারা। কখন যেন মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসতে হয়৷ তাই বর্ষা আসার আগেই একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর৷

নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি হারানো সাহিনুর বলেন, ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙনে আমার ফসলি জমি নদী গ্রাস করেছে৷ বসত বাড়িও অর্ধেক নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে৷ এবার বর্ষায় যদি নদী ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আমার মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসতে হবে৷ আমাদের মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে বর্ষা আসার আগেই নদী ভাঙন রোধে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি৷

নদী ভাঙনে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব শাহাদাত বলেন, নদী ভাঙনের ভয়াল গ্রাসে আমার ঘর বাড়ি, ফসলি জমিসহ ১২৫ শতাংশ সম্পত্তি নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে৷ এখন শুধু বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই৷ এবার বর্ষায় নদী ভাঙন রোধে যদি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হয়৷ আমার শেষ সম্বলটুকুও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা নদী পাড়ের এক শত পরিবার এখনও আতঙ্ক নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাই৷ এই ভাঙন রোধে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেই আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো৷

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ বলেন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়নের খাড়াকান্দি গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিপন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়