বাজিতপুরে বিক্ষোভের মুখে নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ আল্পনা আক্তার। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেন নার্সিং কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন কলেজটির অধ্যক্ষ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক কলেজের ডিএমসি নার্সিং পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী আফজাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের শেষ নেই। দীর্ঘদিন আমাদের ভয় দেখিয়ে চুপ রাখা হয়েছিল। অধ্যক্ষ আল্পনা আক্তার পদত্যাগ করায় ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত স্বেচ্ছাচারিতাসহ, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে কলেজের শিক্ষার্থীদের। তাই তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যক্ষ আল্পনা আক্তার শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বিভিন্ন রকম দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সোফা, আইফোন, তার জন্মদিন উপলক্ষে ডায়মন্ড আংটি এবং দামি শাড়ি নিয়েছেন। যদি কোনো ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এসব দিতে না চায়, তাঁদেরকে দীর্ঘদিন নানান কায়দায় একই বিভাগে রেখে দিতেন। এছাড়া বিভিন্ন কটু কথার মাধ্যমে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি একই সঙ্গে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবেও কর্মরত। তাই হাসপাতালেও তিনি তাঁর পছন্দমতো নার্স নিয়োগ দিতেন। যদি ভালো লাগে সে চাকুরি করতে পারতো, নয়তো দুই দিন পর আবার তাদের চাকরিচ্যুত করা হতো।
অভিযোগ ও পদত্যাগের বিষয়ে আল্পনা আক্তার বলেন, আমি পরিস্থিতির শিকার। তাই পদত্যাগ করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়।
তিনি আরও বলেন, উপহার নিয়েছি সত্য, তবে জোর করে নয়। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় আমাকে খুশি হয়ে দিয়েছে। কেউ হয়তো এসবের পেছনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
রুমন/ইমন