ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১২, ২৬ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১১:১৬, ২৬ আগস্ট ২০২৪
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছে

জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহজুড়ে চলমান বন্যায় জেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, ছাত্র-জনতার চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে দেড় লাখ মানুষকে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজ উদ্যোগে মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

জেলা প্রশাসক জানান, এ পর্যন্ত ৬০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিভিন্নভাবে বিতরণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাব হেলিকপ্টারের সহায়তায় আরও ৩৮ হাজার প্যাকেট খাদ্যদ্রব্য মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। এর বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে বন্যা কবলিতদের কাছে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকরা।

এদিকে, জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে ইতোমধ্যে বন্যার পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফেনী সূত্র জানিয়েছে, মুহুরী নদীর পানি কমে যাওয়ায় পরশুরাম, ফুলগাজীতে বন্যা পরিস্থিতি লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়েছে। ফেনী শহরেও পানি কমছে। সোনাগাজী, দাগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি গতকাল অবনতির দিকে থাকলেও সকালে পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। বন্যাদুর্গত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্যহারে লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যার্তদের উদ্ধার এবং শুকনো খাবার সহায়তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে বলে ইতোপূর্বে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

বন্যায় মৃত্যু প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে মৃত্যুর আরো সংবাদ পাওয়া গেলেও এর সত্যতা এখনো নিরূপণ করা যায়নি।

স্বেচ্ছাসেবকদের একাধিক সূত্র জানায়, অনেকে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। কবরস্থানগুলোতেও পানি থাকায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনে বেগ পেতে হচ্ছে।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার টন চাল ত্রাণকার্যের জন্য বরাদ্দ এসেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খিচুড়ী ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলার কিছু কিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো দুই-তৃতীয়াংশ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়