ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু

এম এ হামিদ, মৌলভীবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১২:০৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরীর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস (১৪) নামের এক কিশোরী মারা গেছে। রোববার রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তার লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৬ ব্যাটালিয়নের একটি দল স্বর্ণাদের বাড়িতে যায়। এ সময় খবরটি এলাকায় জানাজানি হয়।

আরো পড়ুন:

নিহত স্বর্ণা জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।

বাবা পরেন্দ্র দাস ও মা সঞ্জিতা রানী দাস বলেন, তাদের চার ছেলে-মেয়ে। এক ছেলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরায় থাকেন। ছেলেকে দেখতে সঞ্জিতা ছোট মেয়ে স্বর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল রাতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এক দম্পতিও ছিলেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছালে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে স্বর্ণা ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাদের সঙ্গে থাকা দম্পতিও আহত হন। গুলি থামার পর সঞ্জিতাসহ বাকিরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লালারচকের বাসিন্দা সেনাসদস্য জহিরুল ইসলামদের বাড়িতে আশ্রয় নেন সঞ্জিতারা। জহিরুল ইসলাম সোমবার রাত ৯টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘সীমান্তের কাছেই আমাদের বাড়ি। গতকাল রাতে হঠাৎ তিনজন লোক ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে দেখি দুজন গুলিবিদ্ধ। তারা ঘটনা খুলে বলেন। পরে বিজিবির লালারচক বিওপির দায়িত্বে থাকা লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। গুলিবিদ্ধ দুজনকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাই। সঞ্জিতা সুস্থ ছিলেন। তার কাছ থেকে নাম-ঠিকানা জেনে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’

বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক বিওপির টহল কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, কয়েকজন বাংলাদেশি চোরাইপথে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন বলে তারা জেনেছেন। তবে এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিহত কিশোরীর লাশ হস্তান্তর করেনি।

/এসবি/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়