ঢাকা     সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২২ ১৪৩১

তিন মামলায় বিএনপি নেতা দুলুসহ ৬৯ জন খালাস

নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
তিন মামলায় বিএনপি নেতা দুলুসহ ৬৯ জন খালাস

নাটোরে তিনটি মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৬৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ বিচারক মো. মাইনুদ্দীন দুইটি এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. শামসুল আল-আমীন একটি মামলায় তাদের খালাস দেন।

আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন জানান, ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল নলডাঙ্গা থানায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন রামশাকাজিপুর এলাকার জাহেরুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজা। এ মামলায় বাদী আদালতে সুনির্দিষ্টভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রামশাকাজিপুর এলাকার সফুরা খাতুনের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় বাড়ির মালিক সফুরা খাতুন বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় ২৭ এপ্রিল ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাদী পক্ষ আসামিদের শনাক্ত ও রাষ্ট্র পক্ষ অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দুটি মামলার আসামি ৪৭ জনকে খালাস দেন।

২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আমতলী বাজারে সুধির চন্দ্র সাহার মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও চাঁদাদাবি করেন। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ জুলাই নলডাঙ্গা থানায় সুধির চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাতেও বাদী পক্ষ আসামিদের শনাক্ত ও রাষ্ট্র পক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আসামি বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ মামলার আসামি ২২ জনকে খালাস দেন।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‌‘১৫ বছর পর আমিসহ দলের নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নানা হয়রানি ও জুলুমের শিকার হয়েছি।’  

আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়