ঢাকা     মঙ্গলবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৫ ১৪৩১

বিএসএফের হাতে রাবি ছাত্রলীগ নেতা রুনু আটক

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩১, ৯ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২৩:১৫, ৯ নভেম্বর ২০২৪
বিএসএফের হাতে রাবি ছাত্রলীগ নেতা রুনু আটক

ভারতে গ্রেপ্তার ফয়সাল আহমেদ রুনু

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। শেষমেশ চেষ্টা করেছিলেন ভারতে অনুপ্রবেশের। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকতার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজারের অনলাইনে এ খবর দেওয়া হয়েছে। খবরে ফয়সালের নাম ভুল করে লেখা হয়েছে ‘ফয়জল’। আর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নাম লেখা হয়েছে ‘পাওয়া’। অন্যসব তথ্য ফয়সাল আহমেদেরই।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, গত ২ নভেম্বর দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের হবিবপুর ব্লকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মধ্য দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তে বিএসএফ তাকে আটক করে। বাংলাদেশ সীমান্ত টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন ফয়সাল। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাকে আটক করে। সেদিন বিকেলে তাকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন বিএসএফ সদস্যরা। পরের দিন পুলিশ তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চায়। বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিনদিন ও পরে বুধবার আরও পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ফয়সাল আহমেদ রুনুকে।

আরো পড়ুন:

মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদবের বরাতে আনন্দবাজারের খবরে আরও বলা হয়েছে, ফয়সালকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত চলছে। জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফয়সাল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফয়সাল ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পরে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যান।

ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায়। তাঁর বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরকার তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর ছেলে ফয়সাল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। দায়িত্বে ছিলেন ২০২৩ পর্যন্ত। গত জুনে তিনি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান।

কেয়া/বকুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়