ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ওসমানী হাসপাতালে প্রথম ৮ শিশুর দেহে ডিভাইস স্থাপন

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ২ ডিসেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৪১, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
ওসমানী হাসপাতালে প্রথম ৮ শিশুর দেহে ডিভাইস স্থাপন

শিশুর শরীরে ডিভাস লাগানোর কাজে অংশ নেওয়া চিকিৎসক ও নার্সরা। ইনসেট অপারেশন করা হচ্ছে শিশুকে

সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো আট শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। 

হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের সার্জারি করা হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

আরো পড়ুন:

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে এ কার্যক্রম চলে। 

এর আগে গত শনিবার শিশু হৃদরোগীদের দেহে ডিভাইস বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রিজওয়ানা রিমার নেতৃত্বে অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এএসডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভিএসডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পিডিএর (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আর্টারিওসাস) চিকিৎসার জন্য ডিভাইস লাগানো হয়। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এই ডিভাইস লাগানো হল। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও লন্ডনের ‘মান্তাদা এইড’ এর যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে ওসমানী হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ এবং শিশু মেডিসিন বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করে।

সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, ‍“আটজন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো সম্পন্ন হয়েছে। সবাই ভালো আছে। ঢাকার তিনটি হৃদরোগের হাসপাতাল ছাড়া এর আগে দেশের আর কোথাও এই অপারেশন হয়নি। এ ধরনের রোগী আসলে আগে আমরা ঢাকায় রেফার্ড করে দিতাম। যেটা একজন রোগীর পরিবারের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হতো। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম চালু রাখতে ‘মান্তাদা এইড’ এর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারা আমাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়