বালু বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

যমুনা নদীর চরে জেগে ওঠা বালু বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের সিংড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- বিএনপি সমর্থিত একই এলাকার মুন্না আহমেদ, পারভেজ শেখ, হৃদয় শেখ, ফজলে রাব্বী ও উষা বেগম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার সিংড়াবাড়ি এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যমুনায় জেগে ওঠা চর থেকে বালু সংগ্রহ করে জিওব্যাগে ভরছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর ছেলে মেহেদী হাসান সুমন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলামের লোকজন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিদিন নৌকা প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা নেন। এ চাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘‘উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম, গান্ধাইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুইট ও ছাত্রদল নেতা নবীনসহ আরো কয়েকজন প্রতিদিন বালুর নৌকা প্রতি চাঁদা তোলেন। এ চাঁদা তুলতে নিষেধ করায় আমার মা উষা বেগমসহ পাঁচ জনের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।’’
তবে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘‘সুমনকে চরের বালুর চাঁদা ও একক আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয়রা বাধা দিলে এ হামলা হয়।’’
কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় আহতাবস্থায় ৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে, এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
কাজীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মেহেদী হাসান সুমন নামের একজন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/রাসেল/রাজীব