ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভারতে এইচএমপিভি শনাক্ত, সতর্কতা নেই শেরপুর স্থলবন্দরে

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৮:২১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতে এইচএমপিভি শনাক্ত, সতর্কতা নেই শেরপুর স্থলবন্দরে

ভারতসহ কয়েকটি দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়লেও প্রতিরোধে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কোনো রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই এই বন্দর দিয়ে যাত্রীরা ভারত ও ভুটানে যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে ট্রাকচালক ও হেলপাররা দুই দেশে বেশি আসা-যাওয়া করছেন। তবে, বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও, মৌখিকভাবে তাদের  সচেতন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থলবন্দরের গেইটে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় বন্দরের ভেতরে কর্মকর্তাদের বসে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু কোথাও এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো রকম  যন্ত্রপাতি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। কাগজপত্র সঠিক থাকলেই যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন বা আসতে পারছেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, তারা এ ভাইরাস সম্পর্কে অবগত নন। তবে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এই ভাইরাস যেহেতু ভারতে শনাক্ত হয়েছে, সেহেতু বন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।

হালুয়াঘাটের বাসিন্দা ভারতের পাসপোর্টধারী যাত্রী আকরাম হোসেন বলেন, ‘‘আমার এক ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছি এই ভাইরাসের নাম। যদি করোনার মতো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তাহলে মুশকিল হয়ে যাবে। এ জন্য আগে থেকেই সতর্কতার সঙ্গে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমি মনে করি।’’

আরেক যাত্রী সাব্বির আহম্মেদ বিস্মিত কণ্ঠে বলেন, ‘‘ভাই কি যে ভাইরাসের কথা আপনারা বলেন! আমি মাস্ক সবসময় ব্যবহার করি এবং পরিস্কার থাকার চেষ্টা করি। এসব ভাইরাস-টাইরাস আমাদের শরীরে আসবে না। কারণ আমাদের শরীর ফিট।’’ 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বলেন, ‘‘করোনার সময় বন্দর বন্ধ আছিল। যদি, নতুন করে এই ভাইরাস আসে, তাহলে তো আগে থেকেই ঠিকঠাক থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে বন্দরের ভেতরে কিংবা বাইরে পরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি বসানো উচিত।’’      

নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘এখনো ওইভাবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এই বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। তবে মৌখিকভাবে সচেতন করে যাচ্ছি আমরা।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা জানেন যে, এই বন্দর দিয়ে মূলত ভারত ও ভুটান থেকে যাত্রী পারাপার বেশি হয়। গত মাসে এই বন্দর দিয়ে প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী পারাপার করেছেন। তবে, এ মাসে এখন পর্যন্ত তেমন যাত্রী পারাপার হয়নি। তারপরও যারা পারাপার হচ্ছেন তাদের মৌখিকভাবে সচেতন করছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি।’’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই সেভাবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করবে।’’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এই ভাইরাসে কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে সাধারণত জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়, নাক বন্ধ হয়ে যায়, শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। এটি অন্য জ্বরের মতো। তবে, শিশু, বয়স্ক ও বয়স্ক যেসব ব্যক্তি ক্যানসার বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে।’’ 

তবে ভয়ের কিছু নেই বলেও জানান এই সিভিল সার্জন। 

তারিকুল//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়