সাতক্ষীরা সীমান্তে ঠেলে দেওয়া ২৩ জনকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে স্থানান্তর
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশি
সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ঠেলে দেওয়া নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশিকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ইমরান হোসেন সদর থানা থেকে তাদের একটি বাসে উঠিয়ে দেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর ৫টার দিকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ’র কৈজুরী ক্যাম্পের সদস্যরা সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশিকে নাগরিককে ঠেলে দেয় করে। এদের মধ্যে সাতজন পরুষ, সাতজন নারী ও নয়জন শিশু।
পরে কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে সকালে তাদের সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ন সদর দপ্তরে পাঠায়। এরপর বিকেলে তাদের সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য একটি বাসযোগে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
এসব বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার চন্দখানা গ্রামের জাবেদ হোসেন (৫০), তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৪২), ছেলে যথাক্রমে সুমন (২৪), নুর আলম (২০) ও সজীব মিয়া (৭), একই এলাকার সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশী বেগম (১৯) ও নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন (১৮), একই জেলার ভুরুখামারী থানার কামাত ভান্ডারিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী লাইলি বেগম (২৭), তাদের কন্যা মোর্শেদা খাতুন (১১), মিম খাতুন (৭) ও ছেলে লুৎফর রহমান লাবিব (২), একই জেলার নাগেশ্বর উপজেলার মোক্তারকুটি গ্রামের আব্দুল মান্নাফ (৪৫), তার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩৫), কন্যা সুমাইয়া খাতুন (১২) ও ছেলে আব্দুল্লাহ (৯), একই জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের মজিবর রহমান (৪০) ও তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩১), একই উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম (২৭), ছেলে শফিরানা (১০), শাকিল (৬) ও কন্যা দুলালী (৩) এবং ঝালকাঠি জেলা সদরের দারকি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৪৯)।
সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন বলেন, “ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পুশইন করা ২৩ বাংলাদেশি নাগরিকের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে ও ১ জনের বাড়ি ঝালকাটিতে।"
তিনি বলেন, “কুড়িগ্রাম যেহেতু সাতক্ষীরা থেকে অনেক দূরে এজন্য একটি বাস যোগে করে তাদেরকে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কুড়িগ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুর চৌধুরী , সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক ও সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী