ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন সেন্টার চালু 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ২৬ জুন ২০২৫  
চট্টগ্রামে করোনা মোকাবিলায় আইসোলেশন সেন্টার চালু 

চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালে ১৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবার করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে ব্যবস্থা নিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন আলকরণ এলাকায় চসিক পরিচালিত জেনারেল হাসপাতালের (মেমন হাসপাতাল-২) তৃতীয় তলায় চালু হয়েছে ১৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট ও র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট সেন্টার।

সেন্টারটির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হোসনা আরা বেগম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সেক্রেটারি ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালি, ডা. সারোয়ার আলম প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

মেয়র জানান, নতুন এই সেন্টারে ১০টি পুরুষ ও ৫টি নারী রোগীর জন্য শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে শয্যা সংখ্যা ২০-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ক কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক পর্যায়ে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট এবং জরুরি চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, “করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন এখন অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ধরনটি বিপজ্জনক, কারণ অনেক ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও রোগীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে এবং প্রয়োজনে আইসোলেশনে থাকতে হবে।”

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। “আগেও আমরা একসঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছি, এবারও পারব ইনশাআল্লাহ,” বলেন মেয়র।

করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়েও কথা বলেন মেয়র। তিনি জানান, ডেঙ্গু শনাক্তে আলাদা এন্টিজেন টেস্ট এবং চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু রোধে এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে প্লাস্টিকের পাত্র, ডাবের খোসা, ফুলের টব বা পানি জমে থাকা জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মেয়র আরো জানান, চসিকের মশক নিধন অভিযানে স্থানীয় ক্লাব ও সংগঠনগুলোকে মেশিন ও কীটনাশক দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “শুধু শহরের পরিচর্যা নয়, বাসা-বাড়ির ভেতরের দায়িত্বও আমাদের নিতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।”

জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্লোরিন সলিউশনের ব্যবহারকেও কার্যকর বলে মন্তব্য করেন ডা. শাহাদাত। “২০২০ সালেই আমি বলেছিলাম মাত্র দশমিক পাঁচ শতাংশ ক্লোরিন সলিউশন নিয়মিত ছিটালে বাসা, হাসপাতাল ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত রাখা সম্ভব। এটা ভাইরাল রোগ প্রতিরোধে একটি কার্যকর উপায়,” যোগ করেন মেয়র। 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়