ঝিনাইদহে তিন গ্রামের আবাদি জমি পানির নিচে, দুর্ভোগে চাষীরা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কালীগঞ্জ উপজেলায় পানির নিচে আবাদি জমি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো চাষী। বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা না থাকায় কোনো চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা।
চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নরদহি, মোল্যাডাঙ্গা ও বগেরগাছি এই তিন গ্রামের প্রায় ১ হাজার বিঘা আবাদি জমি পানির নিচে। কোনো আবাদই করতে পারছেন না তারা। এতে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে এই এলাকার চাষীদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু সমস্যা নিরসনে বারবার উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগের দাবি জানান তারা।
কওসার শেখ নামে এক চাষী বলেন, “এই মাঠের জলাবদ্ধতা নিষ্কাষণের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বৃষ্টির পানিতে এই মাঠ একদম তলিয়ে যায়। কোনো চাষাবাদ করা যায় না।”
সন্তোষ গাইন নামে আরেক চাষী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠের পানি জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগছেন। এই মাঠের হাজার হাজার বিঘা জমি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। শুধু পানির কারণে কোনো আবাদ করা যায় না। যদি এই পানি নিষ্কাষণ করা হয় তাহলে এই এলাকার মানুষ স্বস্তি পাবে। তারা চাষাবাদ করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।”
শুকুর আলী বলেন, “এই মাঠে আমার ১০ বিঘা জমি আছে। এই মাঠের জমি ছাড়া আমার অন্য কোথাও জমি নেই। এই জমির উপরেই সংসার চালাতে হয়। কিন্তু পানির কারণে আবাদ হয় না। খুব কষ্টে দিন কাটে আমাদের। এই মাঠের পরেই একটি বাওড় আছে। সেখানে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হলে এই মাঠের প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা যাবে। সরকারের কাছে আবেদন যেন এই পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করা হয়।”
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেদারুল ইসলাম বলেন, “ওই মাঠের চাষীরা লিখিত আবেদন দিলে অবশ্যই জনস্বার্থে মাঠের পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করা হবে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মেহেদী