ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কক্সবাজারে সহোদর হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২১ অক্টোবর ২০২৫  
কক্সবাজারে সহোদর হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দুই শিশুকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিহতরা আপন ভাই।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ওসমান গণি মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) মীর মোশারফ হোসেন টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গর্জনিয়া বড়বিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আবদু শুক্কুর, আলমগীর হোসেন (বুলু), মিজানুর রহমান ও শহীদুল্লাহ।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়ারা হলেন- আবদুল মজিদ বদাইয়া, ফাতেমা খাতুন, রাশেদা খাতুন ও লায়লা বেগম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকেলে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকায় দোকান কর্মচারী মো. ফোরকানের দুই ছেলে হাসান শাকিল (১০) ও হোসেন কাজল (৮) বাড়ির অদূরে খেলা করছিল। এ সময় পাখির ছানা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অপহরণ করে আসামিরা। ওই দিন রাতে মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিয়ে পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা দুই ভাইকে হত্যা করে।

এ ঘটনার দুই দিন পর (১৯ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে স্থানীয় জালালের ফলের বাগানের পাশের খালের পাড় থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতদের বাবা ফোরকান বাদী হয়ে রামু থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে স্বীকার করেন, তার নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। প্রথমে শিশুদের হত্যা করে মরদেহ ড্রামে ভরে রাখা হয়, পরে সুযোগ বুঝে খালের ধারে ফেলে দেওয়া হয়।

স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মীর মোশারফ হোসেন টিটু বলেন, “৯ বছর ধরে মামলার বিচার কার্যক্রম চলে। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক সব কিছু বিচার করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন।”

তিনি জানান, রায়ে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। বাদীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মোকারমা সুলতানা পুতু নামে এক তরুণীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়