ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফরিদপুরে আ.লীগ নেতা ‘বোমা ফারুক’ গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ১১ নভেম্বর ২০২৫  
ফরিদপুরে আ.লীগ নেতা ‘বোমা ফারুক’ গ্রেপ্তার

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মো. ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোমা ফারুক’।

আগামী ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুককে (৬৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসরিন আক্তারকেও (২৮) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল জলিল দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃত ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোমা ফারুক’ আসন্ন লকডাউন কর্মসূচির অন্যতম পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ যোগানদাতা।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি জলিল জানান, গত ৯ নভেম্বর ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘ঢাকা শহর লকডাউন’ এবং সারা দেশকে অচল করার লক্ষ্যে সরকার উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং জননিরাপত্তা বিপন্ন করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য একত্রিত হয়। এই ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে ফারুক হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন যে, আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করার জন্য ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী তাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ফারুক হোসেন স্বীকার করেছেন, তিনি এই অর্থের একাংশ একজনকে দিয়েছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমেও অর্থ পাঠিয়েছেন। তার মোবাইল ফোন যাচাই করে লকডাউন কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া গেছে।”

আটক মো. ফারুক হোসেন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুপস্থিতিতে তিনি নিজেকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি’ দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮১ সালে সরকারি ইয়াছিন কলেজের ভিপি থাকাকালীন হরতালের সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে তার বাম হাতের মধ্যমা আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেই থেকেই তিনি ‘বোমা ফারুক’ নামে পরিচিত।

ঢাকা/তামিম/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়