ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ডিবি হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২২ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১২:৩৭, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ডিবি হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু

শাহাদত হোসেন

রিকশা চালক হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন শাহাদাত হোসেন (৪৫) নামের এক আসামি সিরাজগঞ্জে ডিবি পুলিশের হেফাজতে মারা গেছে।

পুলিশ বলছে, আসামি শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তবে, আসামির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও সেগুলো পাবলিক অ্যাসল্ট বলে দাবি পুলিশের।

মৃত শাহাদত হোসেন সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর গ্রামের মৃত খলিল হোসেনের ছেলে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বক্কার সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। 

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, “শহরের রেলস্টেশন এলাকার মিশুকচালক আমিনুল ইসলামের গাড়ি ভাড়া নিয়ে যায়। এরপর তাকে হত্যা করে লাশটা উল্লাপাড়ার চৌকিদহ সেতুর নিচে ফেলে মিশুকটা নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। গত ১২ নভেম্বর সকালে আমিনুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে তদন্তে শাহাদত নামে ওই ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।” 

তিনি আরো বলেন, “শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তাকে শহরের বাজার স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যে লুট হওয়া মিশুকের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। এরপর শাহাদত শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান।”

নিহতের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, “গত বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশ শাহাদাতকে আটক করে। শুক্রবার বিকালে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমার ভাই মারপিটের ভয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।”

সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার মনি জানান, ভর্তি করার ২০ মিনিট পরই তিনি মারা যান। তার শরীরে আঘাতের দাগ ও হাতের আঙুলে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও রোগীর হিস্ট্রিতে পাবলিক অ্যাসল্ট রয়েছে। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। সে একটি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন। তার দেওয়া তথ্যে লুট হওয়া মিশুকের ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। আগে থেকেই তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। বিস্তারিত তদন্তের পর জানানো যাবে।”

ঢাকা/অদিত্য/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়