সৌদি আরব থেকে আমদানি হচ্ছে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া
সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০৬ কোটি ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৪০ টাকা। একই সঙ্গে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এমন চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টন ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার দরে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৩ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ টাকা।
একই প্রতিষ্ঠান থেকে একই দামে আরো ৪০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদনও দিয়েছে সরকার। দ্বিতীয় চালান আমদানিতেও ব্যয় হবে সমপরিমাণ অর্থ।
এদিকে সার সংরক্ষণ ও বিতরণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলায় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি একই প্রকল্পের আওতায় বগুড়া জেলায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার আরো একটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৬৭ টাকায় গুদাম নির্মাণের কাজ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সরকারি সূত্র বলছে, নতুন এসব গুদাম নির্মাণের ফলে সার সংরক্ষণ, দ্রুত সরবরাহ ও কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঢাকা/এএএম/রাসেল