সড়কের ‘আত্মার মাগফেরাত কামনায়’ প্রতীকী জানাজা
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন নির্মাণাধীন মেরিন ড্রাইভ সড়কের ‘আত্মার মাগফেরাত কামনায়’ প্রতীকী জানাজা নামাজ আদায় করেছে ‘কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্স’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে মীরাবাড়ি সংলগ্ন পয়েন্টের পশ্চিম পাশের সড়কে কাফনের কাপড় সামনে রেখে জানাজা নামাজ আদায় করেন তারা।
এলজিইডি সূত্র জানায়, জিরো পয়েন্ট থেকে লেম্বুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। কাজটি পেয়েছে ‘ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, যার মালিক জসীম মৃধা।
ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৫ তারিখ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক নির্মাণে মাটির বদলে বালু, খোয়ার পরিমাণ কম দেওয়া এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে এটি টেকসই হচ্ছে না। এর প্রতিবাদ স্বরূপ প্রতীকী জানাজা নামাজ আদায় করা হয়েছে।
কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা মুজাহিদ সিফাত বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে মেরিন ড্রাইভ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙা। এ নিয়ে একাধিকবার স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করা হলেও সড়কের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। বর্তমানে সড়কের কাজ চলমান থাকলেও তা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। তাই, ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ করা হয়েছে। সড়কের মাগফেরাত কামনায় প্রতীকী জানাজা নামাজ আদায় করেছি আমরা।’’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার জসীম মৃধা বলেন, ‘‘এই সড়কে ৪০ মিলি কার্পেটিংয়ের দরকার ছিল। কিন্তু, দেওয়া হয়েছে ২৫ মিলি। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বরাদ্দে ড্রেজিংয়ের বালু থাকলেও ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে বালু এনে কাজ করতে হচ্ছে। তবু, আমরা ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করছি।’’
এ বিষয়ে এলজিইডি পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসাইন আলী মীর বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে নিয়ম মেনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব