ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পরীক্ষা নিতে বাধা, শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা 

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১১:০৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
পরীক্ষা নিতে বাধা, শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা 

ফাইল ফটো

শিশু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেওয়ায় ইট দিয়ে রাজীব বিশ্বাস নামের এক সহকারী শিক্ষকের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বনওয়ারীনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। 

আহত রাজীব একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্ত নয়ন হোসেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

আরো পড়ুন:

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষকদের প্রতি নির্দেশনা থাকার পরেও পরীক্ষা দিতে আসা শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের স্কুলে ঢুকতে দেননি সহকারী শিক্ষকরা। স্কুল গেটেই শিক্ষকরা জানিয়ে দেন, আজ ক্লাস বা পরীক্ষা কিছুই হবে না। পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন অভিভাবকরা। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্রুত হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের আবার স্কুলে ডেকে এনে দায়সারা পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এরপর বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলার কয়েকশ শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হন। তাদের থামাতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন, জবা ও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। এসময় তারা সহকারী শিক্ষক রাজীব বিশ্বাসের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।

আহত শিক্ষক রাজীব বিশ্বাস বলেন, “চলমান শাটডাউনের সব পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। সেই সিদ্ধান্ত না মেনে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। আমরা সেখানে উপস্থিত হলে তিনি সন্ত্রাসী ডেকে এনে আমাদের মারধর করেন। আমার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষরা না থাকলে আমাকে মেরে ফেলতো।” 

সন্ত্রাসীদের চেনেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি যুবদল নেতা নয়ন ও জবাকে চিনেছেন বলে জানান।

ফরিদপুর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন বলেন, “আমার জানতে পারি, সহকারী শিক্ষকেরা শিশু শিক্ষার্থীদের রুমে আটকে রেখেছে। বিষয়টি দেখতে গেলে সহকারী শিক্ষকেরা আমাদের ওপর চড়াও হন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থতির সৃষ্টি হয়।”

ফরিদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চলমান পরিস্থতিতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।” এ ঘটনার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।

ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, “ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়