ঢাকা     সোমবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হাদি হত্যা: শেরপুরে ৪ দফা দাবিতে বিপ্লবী মঞ্চের আল্টিমেটাম

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫  
হাদি হত্যা: শেরপুরে ৪ দফা দাবিতে বিপ্লবী মঞ্চের আল্টিমেটাম

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ২৫ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্নসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘বিপ্লবী মঞ্চ শেরপুর’। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে শেরপুর পৌর শহরের শহীদ স্কয়ারে এ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘জুলাইয়ের হাদি ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘শহীদ হাদি আজাদি’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’ এমন নানা স্লোগান দেন।

আরো পড়ুন:

বক্তারা বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অগ্রসেনানি এবং ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার রূপকার ছিলেন শহীদ শরিফ ওসমান হাদি। তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতরে আরেকটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে, যারা এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নমনীয় অবস্থান নিচ্ছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের মদদদাতা শক্তির জন্য শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন বড় হুমকি বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।

তারা আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যারা আজ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত, তাদের এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। খুনি ফয়সাল চক্রকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে ভবিষ্যতে আরও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

বিপ্লবী মঞ্চ শেরপুরের আহ্বায়ক আরাফাত রহমান তালুকদার সরকারের কাছে ৪টি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো; এক. শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মূল খুনি ও জড়িত চক্রকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ২৫ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করা; নির্বাচনের আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থায় অবস্থানরত আওয়ামী দোসর ও ভারতীয় গুপ্তচরদের চিহ্নিত করে সংস্কার করা; বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয় নাগরিকের ওয়ার্ক পারমিট পুনর্মূল্যায়ন করে বাতিল করা; ভারত আশ্রয়প্রাপ্ত খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা এবং দেশবিরোধী ও বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী মঞ্চ শেরপুরের সদস্য সচিব নাহিম আহমেদ নিলয়, জুলাই যোদ্ধা রুমান মোল্লা ও মাজহারুল ইসলাম বিজয়। সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মনিবুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী আলমগীর, রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সমাবেশ থেকে দ্রুত বিচার ও দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকা/তারিকুল/জান্নাত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়