ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ৫ ১৪৩১

রাবিতে গবেষণার মাছ চুরি, পরস্পরকে দোষারোপ অনুষদ–প্রশাসনের

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
রাবিতে গবেষণার মাছ চুরি, পরস্পরকে দোষারোপ অনুষদ–প্রশাসনের

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফিশারিজ বিভাগের গবেষণা পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অপরদিকে, গবেষণা কাজের জন্য গার্ড রাখার কথা থাকলেও অনুষদের পক্ষ থেকে কোনো নিরাপত্তাকর্মী রাখা হয়নি। ফলে অনুষদের ওপর সম্পূর্ণ ‘দায়’ রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে ‘অবগত নয়’ খোদ ফিশারিজ অনুষদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে পুকুরে মাছের বৃদ্ধির ওপর গবেষণা করা হয়। গত ২৬ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের পেছনের একটি গবেষণা পুকুর থেকে ১৮টি খাঁচার সব মাছ চুরি হয়ে যায়। পুকুরে রুই ও কাতলা মাছের বৃদ্ধি এবং তেলাপিয়া মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড কম্পোজিশন প্রভাবের ওপর তিন মাসের একটি গবেষণা কাজ চলছিল। পরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান। এর আগেও গত বছরের ৯ জুন রাতে ১৬টি খাঁচার মধ্যে তিনটি খাঁচার মাছ চুরি হয়। তবে এসব ঘটনায় অনুষদ বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত করেনি।

গবেষণার দায়িত্বে থাকা ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক বহিরাগতও পুকুর পাড়ে বসে আড্ডা দেয়। তাই নির্দিষ্ট করে কাউকে সন্দেহ করতে পারছি না। এর আগে ২০২২ সালেও এমন একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এ বিষয়ে প্রক্টর দপ্তরে অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এ গবেষক।

চুরির ঘটনায় ফিশারিজ অনুষদকে দায়ী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমরা ফিশারিজ অনুষদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছি এবং সেখানে আগেও গার্ড ছিল। মাছের ওপর গবেষণার ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য ওই অনুষদকে একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয়। এই তিন মাস মাছের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল ওই অনুষদের। কারণ তাদের গবেষণা পুকুরের মাছের নিরাপত্তার জন্য গার্ড রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা রাখেনি। ফলে এ ঘটনায় অনুষদকেই দায় নিতে হবে।

এ বিষয়ে ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইশতিয়াক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ফোন রেখে দেন।

শাকিবুল হাসান/ফিরোজ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়