ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি রবি উপাচার্যের

রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২১, ২৭ মার্চ ২০২৪  
২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি রবি উপাচার্যের

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়। এসময় গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রবি উপাচার্য প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দান এবং বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।

উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন,  বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া গেলে যারা এ গণহত্যা চালিয়েছিল তারা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ২৫ মার্চ তথা ১৯৭১ সাল জুড়ে বাঙালি জাতির ওপর যা হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় অভিশপ্ত একটি স্থান। তাই দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবেই স্মরণ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা অর্জনের পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও আমরা পাকিস্তানিদের নারকীয় হত্যার স্বীকৃতি পাইনি। ব্রাজিলে একটি গোষ্ঠীকে নিধন করার জন্য ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তা কোর্টে জেনোসাইড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে সামরিক অভিযানটি পরিচালনা করেছিল সেখানে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। এরপরেও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া হতাশাব্যাঞ্জক।

শহিদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের পর রবীন্দ্র উপাচার্য শাহ্ আজম শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শহিদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। বঙ্গবন্ধুর সুদক্ষ নেতৃত্ব এবং মহান শহিদদের আত্মত্যাগের কারনেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং আজ আমরা একটি উন্নয়নশীল জাতির মর্যাদা অর্জন করেছি।

এ সময় অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

/হাবিবুর/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়