ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা কুবি প্রশাসনের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আবারও সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ১০০তম সিন্ডিকেট সভা শেষে বিষয়টি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। 

তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪৩ এর ‘ঘ’ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে না। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে যেহেতু আগেই বলা হয়েছে, সেহেতু এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত দিবে না।

এর আগে, ২০০৭ সালের ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রয়াত অধ্যাপক ড. গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে বলা আছে, বিবিধ আলোচনায় উপাচার্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত ও যুগোপযোগী বিদ্যাপীঠ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় সংকল্পের কথা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে জড়িত থেকে তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার বিকাশ ঘটাবে। এ ব্যাপারে শুরু থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, শৃঙ্খলা, নিয়ম-নীতি যুথোপযুক্তভাবে সম্পাদন করা হবে। ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি হবে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক, যা মোটেই রাজনৈতিক দল ও লেজুরভিত্তিক নয়। পরিবেশ রক্ষা, উন্নত শিক্ষার সুষ্ঠু ধারা প্রবর্তন এবং যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা ও রাখার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধূমপানমুক্ত এবং রাজনৈতিক অপচর্চা থেকে বিরত রাখতে হবে। 

তবে সিন্ডিকেটের স্পষ্ট নির্দেশনা সত্ত্বেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তেই ছিল ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগের আধিপত্য। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনৈতিক কোন্দলে খালেদ সাইফুল্লাহ নামে এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।