ঢাকা     মঙ্গলবার   ২০ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩২

কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৫  
কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃষি অনুষদের  শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এসব দাবি না মানলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার দেন তারা। 

আরো পড়ুন:

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘তুমি কে আমি কে, কৃষিবিদ কৃষিবিদ’, ‘মেধাবীদের মূল্যায়ন, করতে হবে করতে হবে’, ‘কৃষিবিদের অধিকার, বুঝিয়ে দাও বুঝিয়ে দাও’, ‘মেধাবীদের যুদ্ধ চলছে চলবে’, ‘মেধাবীদের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের আট দফা দাবি অযৌক্তিক। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব দাবি গ্রহণ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সব ধরনের বৈষম্য দূর করা। অথচ বিএসসি কৃষিবিদদের সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দশম গ্রেডে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরও বলেন, দেশের কৃষি উন্নয়নে বিএসসি কৃষিবিদরা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উচ্চফলনশীল জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। এ জায়গায় যদি মেধাবীদের মূল্যায়ন করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কৃষিখাত হুমকির মুখে পড়বে।

এগ্ৰোনমি এবং এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সায়েম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের বিপক্ষে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছর কঠোর পরিশ্রম করে একটা ডিগ্ৰি অর্জন করি। কিন্তু তারা একটা ডিপ্লোমা কোর্স করেই নিজেদের কৃষিবিদ দাবি করেন। যা আমাদের কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য অপমানজনক। যদি আমাদের পাঁচ দফা মানা না হয়, তাহলে আমরা ১ দফা দাবি তুলবো।”

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো-

১. প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।

২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত নবম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।

৩. দশম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

৪. কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে ‘কৃষিবিদ’ প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৫. কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর অধীনেই রাখতে হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়