ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শাবিপ্রবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গায়েবানা জানাজা’

শাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৪, ২৮ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৮:০৪, ২৮ আগস্ট ২০২৫
শাবিপ্রবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গায়েবানা জানাজা’

ঢাকায় প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের ‘গায়েবানা জানাজা’ পড়েন।

ঢাকায় প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি ও গায়েবানা জানাজা পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে কর্মসূচি শুরু হয়ে প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তী সরকারের গায়েবানা জানাজা পড়েন। 

আরো পড়ুন:

এর আগে, বুধবার রাজধানীতে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলার শিকার হন। এতে শাবিপ্রবির পলাশ বখতিয়ার ও হাসিবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

বিক্ষোভে কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের আবরার বিন রশিদ বলেন, “চলতি ইন্টেরিম সরকার পূর্বের মতোই পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে। আমাদের তিনটি দাবি ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক। দেশের প্রকৌশল খাতে ডিপ্লোমাধারীরা ৮০-৯০ শতাংশ পদ দখল করে আছে, যা প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন করে। আমরা চাই, মেধার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করা হোক।”

পেট্রোলিয়াম ও খনিপ্রকৌশল বিভাগের ইব্রাহিম বিন ইসলাম বলেন, “নৌবাহিনী কিংবা বিসিএস ক্যাডারদের মতো কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নবম গ্রেডে প্রবেশ করতে হয়। অথচ ডিপ্লোমাধারীদের সরাসরি ওই গ্রেডে চাকরি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে মেধাবীরা দেশে ফিরবে কীভাবে?”

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হাতে লেখা নানা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে ছিল— ‘কোটা যদি দেশ খায়, ধ্বংস তার দোরগোড়ায়’, ‘চাকরিতে বৈষম্য, মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি।

আন্দোলনকারীরা পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নবম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) এ প্রবেশের জন্য সবাইকে মেধাক্রমে উত্তীর্ণ হতে হবে ও বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে, কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি দেওয়া যাবে না, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ সৃষ্টি করেও নয়; টেকনিক্যাল দশম গ্রেড (উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) পূরণের ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ দিতে হবে, ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়