ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রোজায় বাড়তি দামে ফল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ১৬ এপ্রিল ২০২১  
রোজায় বাড়তি দামে ফল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের

ছবি: রাইজিংবিডি

রোজায় অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে খুব বেশি হেরফের না হলেও, বেড়েছে ফলের দাম। রমজান আসলেই ফলের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে ক্রেতাদের। তাই ইফতারে একটু স্বাস্থ্যসম্মত ফল খেতে ফলের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।

তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে নাশপাতি, খেজুর, আপেল, আঙ্গুর, মাল্টা, আনারস ও বেদানার দাম বাড়তি।  এর মধ্যে কোনো কোনো ফলের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তি নগর ও খিলগাঁও এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে ফল আমদানির পরিমাণ কমেছে। এছাড়া রমজান মাসে এমনিতেই ফলের দাম একটু বেশি থাকে। তবে লকডাউনের কারণে একটু বাড়তি ফলের দাম। তাই পাইকারিতে বেশি দাম ফল কেনা লাগছে।  সে হিসবে খুচরা ফল বিক্রিতে দাম একটু বেশি ধরা হচ্ছে। তবে রোজায় বাড়তি দামেও ফল কিনছেন ক্রেতারা। বিকাল থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত ফলে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকছেই।

বিভিন্ন এলাকার ফলে দোকান ঘুরে দেখা গেছে- নাশপাতি, আপেল, খেজুর, আঙ্গুর, মাল্টা ও বেদানা বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া কোথাও কোথাও কলা বাড়তি দামে বিক্র হচ্ছে। এসব ফলে মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাশপাতির (সাউথ আফ্রিকান) দাম বেড়েছে। ফলটি কেজিপ্রতি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  দুই সপ্তাহ আগেও ফলটি কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কেজিপ্রতি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। যদিও সপ্তাহ দু’য়েক আগে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেজিপ্রতি মাল্টা বিক্রি হয়েছে।

কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে আপেলের দাম। বেশি বেড়েছে আপেলের দাম। সপ্তাহ দুয়েক আগেও আপেল ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখন সে আপেল কেজিপ্রতি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, কলার দামেও বেড়েছে। সবরি কলার হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। রোজার আগে কলার দাম কিছুটা কম ছিল।

খাগড়াছড়ির ছোট আকারের জলডুগি আনারস প্রতিপিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে। দু’সপ্তাহ আগে বিক্রি হচ্ছিল ২০-২৫ টাকায়।

এছাড়া পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। আর রোজায় ইফতারের অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুর প্রকার ভেদে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।  কেজিপ্রতি আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়।

তবে অন্যান্য ফলে চেয়ে তুলনামূলক সস্তায় তরমুজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেজিপ্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।

খিলগাঁও রেলগেটে ফল বিক্রেতা মো. সোলায়মান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ফলের আমদানি কমেছে। তাই বাড়তি দামে ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।  তবে রোজার কারণে একটু বাড়তি দাম দিয়েও ক্রেতার ফল কিনছেন।’

মালিবাগ রেলগেট এলাকায় একটি ফলে দোকান থেকে ২৬০ টাকা কেজি দামে নাশপাতি কিনেছেন নাসির হোসেন। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে নাশপাতি কিনেছি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এখন কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’

এনটি/এসবি/ই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ