ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে: কাজী ওয়াহিদ

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ২৪ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:৩২, ২৪ জুন ২০২১
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে: কাজী ওয়াহিদ

কাজী ওয়াহিদ উল আলম

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পুনর্গঠিত পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদ উল আলম বলেছেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও কোম্পানিকে নিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। তাই কোম্পানিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা অনেক চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগকারী বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ‘আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অযৌক্তিক কারণে কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ুক আমরা সেটা চাই না। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।

সম্প্রতি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে রাইজিংবিডিকে তিনি এ কথা বলেন।

কাজী ওয়াহিদ উল আলম বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইউনাইটেড এয়ার সবসময় সার্বিক সহযোগিতা করছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) আরেকটু সহযোগিতা পেলে আমরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ইউনাইটেড এয়ারকে একটি পর্যায়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে সেটা রাতারাতি সম্ভব নয়। সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই কোম্পানিকে একটি পর্যায়ে দাঁড় করানো সম্ভব হবে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, এত প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকা সত্বেও আমরা কোম্পানিকে পুনরায় দাঁড় করানোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রেখেছি।  কারণ  এ কোম্পানিতে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ১ লাখ ৬০ হাজার বিনিয়োগকারীর স্বার্থ যদি রক্ষা করতে পারলেই, ওটাই হবে আমাদের বড় অর্জন।  এজন্য আমরা বিএসইসির সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছি। বিএসইসি চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা করছেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিএসইসির দিক নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। সেদিক নির্দেশনা আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হচ্ছে। তবে কোম্পানিকে দাঁড় করাতে একটু সময় প্রয়োজন।  এছাড়া গত তিন মাসের মধ্যে ৮টি পরিচালনা পর্ষদ সভা করেছি। কোম্পানিকে দাঁড় করাতে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ চলছে। তবে করোনা পরিস্থিতি কোম্পানির অন্যতম বড় সমস্যা, যে কারণে অনেক কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের পুনর্গঠিত পর্ষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কোম্পানির অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে, তহবিলগত সমস্যা থাকবে না। এ বিষয়টি নিয়েও কাজ করছি।  তবে তার আগে কোম্পানির দায়-দেনা নিরূপণ করা এবং তা কয়েক বছরের জন্য লক করে রাখা জরুরি। তাহলে ফান্ড পেতে সমস্যা হবে না। আমরা ইউনাইটেড এয়ারের দায়-দেনা সম্পর্কে ধারণা পেলেও, তা পূর্ণঙ্গরূপে জানতে নিরীক্ষার প্রয়োজন। তাই নিরীক্ষা করা জরুরি।  এজন্য বিএসইসি সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইউনাইটেড এয়ারের ফান্ডে একটি টাকাও নেই।  নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাজ করতে হচ্ছে। অফিস স্টাফদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই। যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছি, সেহেতু কাজ করতে হচ্ছে।  যেহেতু বিএসইসি আমাদেরকে এখানে বসিয়েছে, সেহেতু আমাদের কিছুটা হলেও ফেসভ্যালু রয়েছে। আমরা টাকা মেরে নেওয়ার মতো লোক নেই।

কাজী ওয়াহিদ উল আলম বলেন, ভারত ও পাকিস্তানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ২টি এয়ারক্রাফট আটকে আছে। এর মধ্যে ভারতে স্ক্র্যাপ হিসেবে বিমানটির নিলামের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।  অনেক কষ্টে তা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।  বলা যায়, এত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এটা আমাদের প্রথম বিজয়।  তবে তহবিল না থাকা ও করোনা পরিস্থিতির কারণে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সেখানে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। ওই ২টি এয়ারক্রাফট বিক্রি করতে পারলেও কিছু টাকা পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে বিমান দুটি কি অবস্থায় রয়েছে সেটা না জেনে তার দাম নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা/এনটি/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়