ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মর্ডান ডাইং নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ব্যাখ্যা তলব

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৪ জুন ২০২২  
মর্ডান ডাইং নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে ব্যাখ্যা তলব

মর্ডান ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতি ও লেনদেন স্থগিত রাখার বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মর্ডান ডাইংয়ের লেনদেন বন্ধ এবং ধারণ করা শেয়ার হতে মুক্ত হওয়ার জন্য ইবিএল সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মো. বিল্লাল হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ৬(৩) এর অধীনে এই চিঠিটি জারির ৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় এক্সচেঞ্জের অবস্থান ব্যাখ্যা করাসহ সুপারিশ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। একইসঙ্গে চিঠিতে কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুতি করা ও লেনদেন স্থগিত রাখার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে উভয় এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যেসব বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- শেয়ারধারণ, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের তালিকা, কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থান এবং অন্যান্য তথ্য। একইসঙ্গে কোম্পানির বর্তমান অবস্থা, তালিকাচ্যুত ও লেনদেন স্থগিত করার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এক্সচেঞ্জ থেকে কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুত করার আগে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক বিধানগুলো মেনে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল কি-না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৫১(২) অনুযায়ী, স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং মনিটরে সে তথ্য নিয়মিতভাবে প্রচার করা হয়েছে কিনা- সে তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ৯(৪) এর অধীনে কোম্পানি এবং তার পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ শুরু করেছে কিনা সে বিষয়ে জানাতে চেয়েছে বিএসইসি।

একইসঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৭ অনুযায়ী, কোম্পানিটি এবং এবং তার পরিচালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়েও জানাতে চেয়েছে কমিশন।

সর্বশেষ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

ইবিএল সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মো. বিল্লাল হোসেন রাইজিংবিডিকে অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে মডার্ন ডাইংয়ের শেয়ার কিনি। কোম্পানিটি ২০০২ সাল থেকে তালিকাচ্যুতির পূর্বের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৮ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। হঠাৎ করে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই শুধুমাত্র উৎপাদন বন্ধের অজুহাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে ডিএসই কোম্পানিটিকে তালিকাচ্যুত করে। কিন্তু সে সময় কোম্পানিটিকে ওটিসি মার্কেটে না পাঠিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লেনদেন স্থগিত করা হয়। অথচ ২০১০ সালে কোম্পানিটি উৎপাদন বন্ধ করার পূর্বে ইজিএমে বিনিয়োগকারীদের অনুমতি নিয়ে তা ডিএসইকে জানিয়ে ছিল। প্রায় চার বছর যাবত কোম্পানিটি জানাচ্ছে, তাদের করণীয় কিছু নেই, এটা সম্পূর্ণ ডিএসইর ব্যাপার। তাই মডার্ন ডাইংয়ের শেয়ার থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসইসির সহায়তা চেয়েছি।

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়