ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘বাজেটে কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ১১ জুন ২০২২  
‘বাজেটে কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে’

‘আমদানিনির্ভরতা কমানোর চাপ এবং করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের জন্য বরাদ্দ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য এনে একটি সতর্ক বাজেট আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে। নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রবৃদ্ধি সচল রাখার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেওয়াই এ বাজেটের লক্ষ্য। তবে, বাজেটে কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।’

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’ এর বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, পলিসি অ্যানালিস্ট জিনিয়া শারমিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দীন এবং সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।

ঢালাওভাবে সকল কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কর বৃদ্ধি এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখার যে প্রস্তাবগুলো বাজেটে আছে সেগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ড. আতিউর রহমান। এ মুহূর্তে জরুরি নয়, এমন ব্যয় আরও সঙ্কুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।

রবার্ট শুভ্র গুদা বলেছেন, ‘নাগরিকরা স্বাস্থ্যসেবায় যা ব্যয় করেন, তার দুই-তৃতীয়াংশ হয় মূলত ওষুধ কেনার জন্য। স্বাস্থ্য বাজেটে ওষুধ ও পচনশীল চিকিৎসা সামগ্রী উপখাতে বরাদ্দ মাত্র হাজার-বারোশো কোটি টাকা বাড়ালেই গ্রামাঞ্চলে মানুষের এ বাবদ ব্যয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে।’

অর্থমন্ত্রী জ্বালানি ও সারে ভর্তুকি প্রয়োজনবোধে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানোর কথা বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন। এই নীতি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হলে তা সকলের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করেন জিনিয়া শারমিন।

ড. জামাল উদ্দিন কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানো এবং এনবিআরের রাজস্ব আহরণের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন যে, ‘উপজেলা পর্যায় থেকে কার্যকরভাবে কর আহরণের কোনো প্রস্তুতি এখনও নেই।’

সমাপনী বক্তব্যে খন্দকার সাখাওয়াত আলী একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ে নানামুখী টানাপোড়েনের মধ্যে বাজেট প্রণয়ন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রশংসা করেন এবং নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাজেটের যে পর্যালোচনাগুলো হচ্ছে সেগুলো বাজেট চূড়ান্ত করার আগে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান।

হাসান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়